কবরের দাম ৪ লাখ টাকা
জনসংখ্যা বাড়ছে, কমছে জমি। এ কারণে মৃত্যুর পর মানুষকে কবর দেওয়ার জমির দামও বাড়ছে। বর্তমানে চাঁদপুর পৌর কবরস্থানে কবরের দাম চার লাখ টাকায় ঠেকেছে। যেখানে বছর আটেক আগেও একটি কবরের দাম ছিল মাত্র ৫০ হাজার টাকা।
সরেজমিন চাঁদপুর পৌর কবরস্থান ঘুরে দেখা যায়, শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এই কবরস্থানে সামান্য জায়গা খালি নেই। এ কারণে পৌর কতৃপক্ষ পাশের বাস্ট্যান্ড মসজিদের বিশাল একটি পুকুর ভরাট করে কবরের জায়গা সম্প্রসারণ করেছে। কিন্তু সেই জায়গাও কবরে ভরে যাচ্ছে। বর্তমানে ভরাটকৃত পুকুরে আরও দুই থেকে তিন কবর দেওয়ার মতো জায়গা খালি থাকলেও অনেকেই দুই থেকে তিন লাখ টাকায় অগ্রিম কবর কিনে দেয়াল করে রেখেছেন। এতে কবরের জায়গা আরও কমে গেছে। বাধ্য হয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে প্রতি কবরের জায়গার দাম তিন লাখ থেকে বাড়িয়ে চার লাখ করেছে।
সর্বশেষ চাঁদপুর পৌর সভার বাজেটে দেখা যায়, কবর বিক্রি করে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে পৌর কতৃপক্ষ ২৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা আয় করেছে। চাঁদপুর পৌরসভার হিসাব রক্ষক মশিউর রহমান জানান, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এই খাত থেকে ৫০ লাখ টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পৌর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন হাওলাদার বলেন, প্রতি কবর চার লাখ টাকা ঘোষণা দেওয়ার পর এরইমধ্যে ২০টি কবর বিক্রি হয়ে গেছে।
পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের প্রায় ১০ হাজার কবর রয়েছে। অনেক কবরের উপর কবর দেওয়া হয়েছে। আমরা কখনই কোনো কবর বিক্রি করতে চাইনি। কিন্তু লোকজন তাদের স্মৃতি ধরে রাখতে এসব কবর কিনে পাকা করে স্থায়ীভাবে জায়গা কিনে নিচ্ছেন। এ কারনে আমরা কবরের জমি বিক্রি করছি। আগামীতে যাতে কেউ কবর কিনতে আগ্রহী না হন সে জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তেই এসব কবরের দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। তবে পাশাপাশি নতুন আরেকটি কবরস্থান প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গেও কথা হয়েছে যাতে নতুন একটি কবরস্থান করা যায়।
Comments