ফাইনালে উঠতে বাংলাদেশের লক্ষ্য ২২৯
শুরুতেই ৪ উইকেট তুলে নিয়ে আফগানিস্তানকে চেপে ধরে বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। তবে একপ্রান্ত আগলে থাকা দারউইশ রাসুলি ব্যক্তিগত ৫ রানে পাওয়া জীবনটাকে কাজে লাগান দারুণভাবে। তুলে নেন অসাধারণ এক সেঞ্চুরি। তার ব্যাটে চড়ে শুরুর ধাক্কা সামলে ফাইনালে ওঠার দ্বৈরথে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছে আফগানিস্তান ইমার্জিং দল।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৮ রান তুলেছে আফগানিস্তান। অর্থাৎ প্রথমবারের মতো এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে জায়গা করে নিতে বাংলাদেশের চাই ২২৯ রান।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ব্যাটিংয়ের শুরুতেই হাসান মাহমুদের তোপের মুখে পড়ে আফগানিস্তান। উইকেটে থাকা হালকা ঘাসের সুবিধা কাজে লাগিয়ে বেশ বাউন্স আদায় করে নেন এই ডানহাতি পেসার। ইনিংসের প্রথম ওভারেই তিনি ফেরান আবদুল মালিককে। আরেক ওপেনার শহিদউল্লাহ কামালকেও টিকতে দেননি তিনি। দুই আফগান ব্যাটসম্যানই ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে, উইকেটরক্ষক মাইদুল ইসলাম অংকনের হাতে।
মাহমুদের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন শওকত জামান। তাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি। ফলে নবম ওভারে ২৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে আফগানিস্তান।
আফগানদের বিপদ আরও বাড়ে মুনির আহমেদ সাজঘরে ফিরলে। সৌম্য সরকারের বলে বোল্ড হন তিনি। ৩৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা দলটি দারউইশ রাসুলি ও সামিউল্লাহ শিনওয়ারির পঞ্চম উইকেট জুটিতে প্রতিরোধের চেষ্টা করে। তবে এই জুটিকে বেশি দূর এগোতে দেননি তানভির ইসলাম। এই বাঁহাতি স্পিনারের বলে স্লিপে ইয়াসির আলির হাতে ক্যাচ দেন সামিউল্লাহ।
ষষ্ঠ উইকেটে ৬৭ রান যোগ করে আফগানদের ম্যাচে ফেরার পথ তৈরি করে দেন রাসুলি ও সৈয়দ শাফাক। এর মাঝে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন রাসুলি। এই জুটি ভেঙে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পান তানভির। শাফাক ১ চার ও ২ ছয়ে ৬৬ বলে ৩৪ রান করে ক্যাচ দেন সুমন খানের হাতে।
৬ উইকেট হারিয়ে ফেলার পরও বাংলাদেশের বোলারদের চেপে ধরার সুযোগ দেননি উইকেটে থিতু হয়ে যাওয়া রাসুলি ও আটে নামা তারিক স্ট্যানিকজাই। চড়াও হয়ে মেরেকেটে খেলে ৬১ বলে তারা যোগ করেন গুরুত্বপূর্ণ ৮৬ রান। এই জুটিতে দুইশো ছাড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি লড়াইয়ের পুঁজি পায় আফগানিস্তান। ব্যক্তিগত ৫ রানে সৌম্যর বলে জীবন পাওয়া রাসুলি তুলে নেন সেঞ্চুরি, মুখোমুখি হওয়া ১২০তম ডেলিভারিতে।
ইনিংসের শেষ ওভারে পরপর দুই বলে স্ট্যানিকজাই ও রাসুলিকে ফেরান মিডিয়াম পেসার সৌম্য। স্ট্যানিকজাই ২৭ বলে ৫ চারে ৩৩ রান করে আউট হন। রাসুলি ফেরেন ১১৪ রান করে। ১২৮ বলের ইনিংসে সমান ৭টি করে চার ও ছয় মারেন এই ডানহাতি। তার ক্যাচটিও নেন অংকন। ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হন আবদুল ওয়াসি।
বাংলাদেশের পক্ষে হাসান ৩ উইকেট নেন ৪৮ রানে। সৌম্য সমান সংখ্যক উইকেট পান ৫৮ রানের বিনিময়ে। ৩৩ রানে ২ উইকেট দখল করেন তানভির।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান ইমার্জিং: ৫০ ওভারে ২২৮/৯ (মালিক ১, শহিদউল্লাহ ৩, শওকত ১৩, রাসুলি ১১৪, মুনির ২, সামিউল্লাহ ১১, শাফক ৩৪, স্ট্যানিকজাই ৩৩, আজমত ১*, ওয়াসি ০; হাসান ৩/৪৮, সুমন ০/৫৯, সৌম্য ৩/৫৮, তানভির ২/৩৩, মেহেদী ০/২৯)।
Comments