অপপ্রচারে কান দিবেন না: প্রধানমন্ত্রী

অপপ্রচারে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জনগণকে অপপ্রচারের মাধ্যমে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।
২১ নভেম্বর ২০১৯, ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে ‘শিখা অনির্বাণ’-এ পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

অপপ্রচারে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জনগণকে অপপ্রচারের মাধ্যমে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে।

‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে আজ (২১ নভেম্বর) সকালে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।

এর আগে তিনি ‘শিখা অনির্বাণে’ পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মাঝে মাঝে আমরা দেখি, অপপ্রচার চালিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়। আমি সবাইকে একটা কথা বলবো, এই অপপ্রচারে কান দেবেন না।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন অপপ্রচার বিশেষকরে পেঁয়াজ, লবণ প্রভৃতির সঙ্কটের অপপ্রচার চালিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, “এটা করবে আমি জানি, এটা স্বাভাবিক। কাজেই সেটাকে মোকাবেলা করেই আমাদের চলতে হবে, আমরা সেভাবেই চলছি।”

প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণের বেদীতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পর মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের মহান আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানানোর অংশ হিসেবে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী এবং বিমান বাহিনীর বাছাইকৃত চৌকস সদস্যের একটি দল এ সময় গার্ড অব অনার প্রদান করে এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।

পরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্বে নিয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিখা অনির্বাণ চত্বরে সংরক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

এর আগে, প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে এসে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আবু মোজাফফর মহিউদ্দিন মোহাম্মাদ আওরঙ্গজেব চৌধুরী, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবত এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো.মাহফুজুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব শেষে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে যান, যেখানে তিন বাহিনী প্রধানগণ তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধানমন্ত্রীকে পিএসও এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মহাপরিচালকগণ অভ্যর্থনা জানান।

১৯৭১ সালের এই দিনে সেনা, নৌ এবং বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দখলদার পাকিস্তানী সেনাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত আক্রমণ শুরু করে। ফলে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ত্বরান্বিত হয়।

বাংলাদেশ স্বাধীনের পর এই দিনটি প্রতিবছর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago