শিরোপা জিততে ৩০২ রান চাই বাংলাদেশের
![soumya sarkar soumya sarkar](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/soumya_sarkar_0.jpg?itok=t72NdQFP×tamp=1574327526)
ব্যক্তিগত ২৩ রানে সহজ ক্যাচ তুলেও ইয়াসির আলী রাব্বির হাতে জীবন পেলেন রোহাইল নাজির। সেই নাজির শেষ পর্যন্ত তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। আর তার সেঞ্চুরিতে ভর করে বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় সংগ্রহই দাঁড় করিয়েছে পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-২৩ দল। ইমার্জিং কাপের শিরোপা জিততে হলে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে করতে হবে ৩০২ রান।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আসরের ফাইনালে টস জিতেছিল বাংলাদেশই। সকালের শিশিরসিক্ত উইকেটের সুবিধা নিতে তারা বেছে নেয় বোলিং। সুমন খানের বোলিং তোপে শুরুটা খারাপও করেনি দলটি। পাকিস্তানের দলীয় ৪১ রানে দুই ওপেনারকে বিদায় করেন সুমন। এক্সট্রা বাউন্সের সঙ্গে দারুণ আউট সুইংয়ে ওমর ইউসুফকে উইকেটরক্ষক মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের তালুবন্দি করেন তিনি। আর হায়দার আলি পুল করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দেন নাঈম শেখের হাতে।
তবে তৃতীয় উইকেট ইমরান রফিককে নিয়ে ১১৭ রানের দারুণ এক জুটি গড়ে বাংলাদেশের ভোগান্তি বাড়ান নাজির। রফিককে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান। এরপর সাউদ শাকিলের সঙ্গে আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন সেঞ্চুরিয়ান নাজির। স্কোর বোর্ডে ৮৫ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটসম্যান। এ জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ। তবে ততক্ষণে বড় রানের ভিত পেয়ে যায় পাকিস্তান।
শেষ দিকে শাকিল ও খুশদিল শাহর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে তিনশোর বেশি রান পায় দলটি। নির্ধারিত ৫০ ওভার ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৩০১ রান করে তারা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১১৩ রানের ইনিংস খেলেন নাজির। ১১১ বলে ১২টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন এ ব্যাটসম্যান। রফিকের ব্যাট থেকে আসে ৬২ রান। শাকিল ৪২ ও খুশদিল ২৭ রান করেন। বাংলাদেশের পক্ষে ৭৫ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান সুমন। ইমার্জিং কাপের গোটা আসরে তার উইকেট সংখ্যা ১৪টি। হাসান শিকার করেন ২টি উইকেট।
Comments