উইকেট-কন্ডিশন একই, তফাত আকাশ-পাতাল
আগের দিন একই সময় ব্যাট করতে গিয়ে মহাবিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। ভারতীয় পেসারদের সামলাতে গিয়ে মনে হচ্ছিল, ব্যাটসম্যানরা যেন এসে পড়েছেন মৃত্যুকূপে! এদিনও থাকল ঝলমলে রোদ, উইকেটের আচরণও বদলায়নি একদমই। কিন্তু ভারত যখন ব্যাটিংয়ে আর বাংলাদেশ বোলিংয়ে, দেখা মিলল একেবারে উল্টো ছবির। এবার মনে হলো, বোলরারা যেন গিয়ে পড়েছেন অচেনা কোনো জগতে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) ইডেন গার্ডেন্সে দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ভারত উইকেট হারিয়েছে কেবল একটি, ৩০ ওভারে রান তুলেছে ১১৫। সবমিলিয়ে তাদের রান এখন ৪ উইকেটে ২৮৯ । হাতে বিস্তর সময় নিয়ে এর মধ্যেই বিরাট কোহলিরা এগিয়ে গেছেন ১৮৩ রানে। ভারত দলনেতা অপরাজিত আছেন ১৩০ রানে, রবীন্দ্র জাদেজা খেলছেন ১২ রান নিয়ে। এখনই ইনিংস ছেড়ে দিলে বাংলাদেশ বাকি সময়ে অলআউট হয়ে যায় কিনা, সে সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়ার উপায় নেই!
কলকাতা টেস্টের দুদিনের প্রথম সেশনের কন্ডিশন ছিল একই। কিন্তু দুদলের ব্যাটিং-বোলিংয়ে স্কিল, মানসিকতা আর প্রয়োগ দেখাল আকাশ-পাতাল তফাতের ছবি।
আগের দিনের ৫৯ রান নিয়ে দুপুরে নেমেছিলেন কোহলি। খেলেছেন চোখ ধাঁধানো সব শট। ক্যারিয়ারের ২৭তম সেঞ্চুরি করার পথে নির্বিষ বানিয়ে ছেড়েছেন বাংলাদেশের বোলারদের। কোনো রকম বাড়তি চেষ্টা ছাড়াই দ্রুত বাড়িয়ে নিয়েছেন রান। সেঞ্চুরির পর পেসার আবু জায়েদ রাহিকে একই ওভারে কাভার ড্রাইভ-স্ট্রেট ড্রাইভে যেভাবে বাউন্ডারিতে পাঠিয়েছেন, নিরপেক্ষ দর্শকের কাছে তা নিশ্চিতভাবেই ছড়িয়েছে নান্দনিক সৌন্দর্যের নির্যাস।
অপরদিকে, বাংলাদেশের বোলিং ছিল অনেকটাই বিরক্তির কারণ। ইবাদত হোসেন আগের দিন কিছুটা ভালো বল করছিলেন। এদিন জায়গায় বলই ফেলতে পারেননি। তার বল অনায়াসে এসেছে ব্যাটের সামনে। আল-আমিন হোসেনেরও একই দশা। একমাত্র স্পিনার তাইজুল ইসলাম গোটা সেশনে কেবল একটা ডেলিভারিতেই টার্ন আর বাউন্স পেয়েছিলেন। সেটিতেই ফিফটি করা আজিঙ্কা রাহানে নেন বিদায়। ভাঙে কোহলির সঙ্গে তার ৯৯ রানের জুটি। রাহানে করেন ৫১ রান।
পঞ্চম উইকেটে জাদেজাকে নিয়ে ওভারপ্রতি সাড়ে তিনের উপর রান বাড়িয়ে জুটিতে এর মধ্যেই ৫৩ রান তুলে ফেলেছেন কোহলি।
Comments