হাবিবুলের পর বিব্রতকর রেকর্ডে মুমিনুল

দলনেতা হিসেবে দ্বিতীয় টেস্টেই বিব্রতকর এক রেকর্ডে নিজের নাম যুক্ত করেছেন মুমিনুল হক। সাদা পোশাকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসেবে কোনো টেস্টের দুই ইনিংসেই শূন্য রানে আউট হয়েছেন তিনি, যাকে ক্রিকেটীয় পরিভাষায় বলা হয়ে থাকে ‘পেয়ার’। বাংলাদেশের জার্সিতে এর আগে কেবল হাবিবুল বাশার সুমন এমন তেতো অভিজ্ঞতার স্বাদ নিয়েছিলেন।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) কলকাতা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হয়েছেন মুমিনুল। ৬ বল খেলে ইশান্ত শর্মার বলে উইকেটের পেছনে ঋদ্ধিমান সাহার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। ইডেন গার্ডেন্সে ঐতিহাসিক দিবা-রাত্রির টেস্টের প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরার আগে ৭ বল খেলেছিলেন মুমিনুল। উমেশ যাদবের ডেলিভারিতে স্লিপে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাতে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরে তাকে আউট করেছিলেন রোহিত শর্মা।

২৪১ রানে পিছিয়ে থেকে আবার ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ ইনিংসের প্রথম ওভারেই হারায় সাদমান ইসলামের উইকেট। এরপর দলকে নেতৃত্ব দেওয়া মুমিনুলের কাছে প্রত্যাশা ছিল একটি বড় ইনিংসের, বিপর্যয় সামলানোর। কিন্তু ইশান্তের লেট স্যুয়িং হয়ে বেরিয়ে যাওয়া বলে আলগাভাবে খেলার চেষ্টা করেন তিনি। শট খেলার সময় ছিল না কোনো ফুটওয়ার্ক। যার খেসারত মুমিনুল পান হাতেনাতে। তার ব্যাট ছুঁয়ে যাওয়া বল সহজেই লুফে নেন উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান।

২০০৮ সালে হারারেতে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই ইনিংসেই শূন্য রানে বিদায় নিয়েছিলেন বাংলাদেশের তৎকালীন অধিনায়ক হাবিবুল। প্রথম ইনিংসে তিনি খেলতে পেরেছিলেন ২ বল, দ্বিতীয় ইনিংস ৩টি। বাংলাদেশ টেস্টটা হেরেছিল ১৮৩ রানের বিশাল ব্যবধানে।

ইন্দোরে সিরিজের প্রথম টেস্টে যথাক্রমে ৩৭ ও ৭ রান করেছিলেন মুমিনুল। কলকাতায় পেয়েছেন ‘পেয়ার’, গোটা সিরিজে ৪ ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ৪৪ রান করায় প্রথমবারের মতো তার টেস্ট গড় নেমে গেছে চল্লিশের নিচে। ৩৮ টেস্ট খেলা বাঁহাতি মুমিনুলের টেস্ট গড় এখন ৩৯.৬৫।

Comments

The Daily Star  | English

Reforms, justice must come before election: Nahid

He also said, "This generation promises a new democratic constitution for Bangladesh."

8h ago