২০ ভরি স্বর্ণসহ ৩ ‘জিনের বাদশা’ গ্রেপ্তার

মোবাইলফোনে কথা বলে ‘জিনের বাদশা’ পরিচয় দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেসময় তাদের কাছ থেকে ২০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
২৪ নভেম্বর ২০১৯, গাইবান্ধার সাহেবগঞ্জ এলাকা থেকে আটককৃত তিন ‘জিনের বাদশা’র মধ্যে দুজনকে ফতুল্লার চাঁদমারী জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আনা হয়। ছবি: স্টার

মোবাইলফোনে কথা বলে ‘জিনের বাদশা’ পরিচয় দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সেসময় তাদের কাছ থেকে ২০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

গতকাল (২৪ নভেম্বর) ফতুল্লার চাঁদমারী জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান জেলা পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মনিরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ২৩ নভেম্বর রাত সাড়ে ১২টায় ফতুল্লা মডেল থানার মামলায় গাইবান্ধা জেলা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন গাইবান্ধা সাহেবগঞ্জ এলাকার হজরত আলী সরদারের ছেলে মুন্নাফ সরদার (৩৬), একই জেলার রামনাথপুর এলাকার জহিরুল ইসলামের ছেলে তৌহিদ ইসলাম (২৩) এবং বোয়ালি প্রধানপাড়ার ধীরেন্দ্র নাথ মহত্তের ছেলে শিবু চন্দ্র মহত্ত (৩৫)।

এসপি মনিরুল ইসলাম জানান, গত ১৯ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকার বাসিন্দা মনোয়ারা বেগমের কাছ থেকে মোবাইল ফোনে কথা বলে ‘জিনের বাদশা’ পরিচয় দিয়ে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও ২০ ভরি স্বর্ণের গহনা নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় মনোয়ারা বেগমের ছেলে ডা. মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন। পরে থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল যৌথ অভিযান চালিয়ে গাইবান্ধা জেলার সাহেবগঞ্জ থেকে মুন্নাফকে গ্রেপ্তার করে। সেই সঙ্গে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়।

পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালিয়ে ‘জিনের বাদশা’র মূল হোতা তৌহিদ ও শিবু চন্দ্র মহত্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই সঙ্গে তাদের কাছ থেকে আত্মসাৎকৃত ২০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।

এসপি মনিরুল ইসলাম আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার ‘জিনের বাদশা’ চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা একাধিক রেজিস্ট্রেশনবিহীন ভুয়া সিম ব্যবহার করে ‘জিনের বাদশা’ পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ দেশের বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে প্রতারণামূলক ধর্মীয় কথাবার্তা বলার মাধ্যমে তাদের ভক্ত বানিয়ে তাদের টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। তারা বারবার সিম পরিবর্তন করায় তাদেরকে ট্রেস করাটা কষ্টকর হয়ে পড়ে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago