মিয়ানমারের কাছে রাসায়নিক অস্ত্র থাকতে পারে: যুক্তরাষ্ট্র

মিয়ানমারের কাছে রাসায়নিক অস্ত্র থাকতে পারে বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির কাছে ১৯৮০’র দশকের রাসায়নিক অস্ত্র তাদের মজুদে থাকতে পারে বলেও মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
Aung San Suu Kyi
মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে দেশটির প্রধান রাজনৈতিক নেতা অং সান সুচি। ছবি: এপি ফাইল ফটো

মিয়ানমারের কাছে রাসায়নিক অস্ত্র থাকতে পারে বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির কাছে ১৯৮০’র দশকের রাসায়নিক অস্ত্র তাদের মজুদে থাকতে পারে বলেও মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

গতকাল (২৫ নভেম্বর) দ্য হেগে রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা ওপিসিডব্লুর বার্ষিক সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ কথা বলেন। খবর এএফপির।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি টমাস ডিন্যান্নো বলেন, পূর্বে উৎপাদিত মাস্টার্ড গ্যাস মিয়ানমারের মজুদে এখনও থাকতে পারে।

২০১৫ সালে মিয়ানমার আনুষ্ঠানিকভাবে রাসায়নিক অস্ত্র সম্মেলনে (সিডব্লুসি) যোগ দিয়েছিলো। সেই সম্মেলনে রাসায়নিক অস্ত্রের উৎপাদন, মজুদ এবং ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়।

মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ওয়াশিংটনের কাছে তথ্য ছিলো ১৯৮০ সালে মিয়ানমার রাসায়নিক অস্ত্র তৈরির কর্মসূচি হাতে নেয়। সেখানে সালফার মাস্টার্ড গ্যাসও ছিলো।

প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিলো, মিয়ানমার তার অতীতের রাসায়নিক অস্ত্র কর্মসূচী সম্পর্কে জানাতে এবং সেগুলো নষ্ট করতে রাজি না হওয়ায় সিডব্লুসির সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হতে পারছে না।

এর আগে মিয়ানমার এই জাতীয় অস্ত্র সংরক্ষণ ও ব্যবহারের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলো।

২০১৩ সালে একটি সংসদীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো, পুলিশ দেশটির উত্তরাঞ্চলে একটি তামার খনিতে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ফসফরাস গ্যাস ব্যবহার করেছিলো।

২০১৪ সালের জুলাইয়ে মিয়ানমারের পাঁচজন সাংবাদিককে সামরিক বাহিনী রাসায়নিক অস্ত্র উৎপাদন করার প্রতিবেদন তৈরির অভিযোগে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিলো।

এর আগের বছর মিয়ানমারের তৎকালীন আধা-বেসামরিক সরকার দেশের উত্তরাঞ্চলে সংঘর্ষ চলাকালে কাচিন বিদ্রোহীদের ওপর রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহারও অস্বীকার করে।

মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, ওয়াশিংটন এই ব্যাপারটি নিয়ে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকার ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করেছে এবং অস্ত্র ধ্বংস করতে মিয়ানমারকে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে।

২০০৫ সালে লন্ডন-ভিত্তিক ক্রিশ্চিয়ান সলিডারিটি ওয়ার্ল্ডওয়াইড অভিযোগ করেছিলো যে সাবেক সামরিক জান্তারা কারেন বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে।

২০১৭ সালে, মিয়ানমারের জাতিগত সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক অভিযানের ফলে কয়েক লাখ মানুষ পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।

মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চির তার দেশের বিরুদ্ধে আনা গণহত্যা মামলা মোকাবেলা করতে আগামী ডিসেম্বরে দ্য হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার কথা রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Former lawmakers Azaduzzaman Noor, Mahbub Ali arrested

Former minister for cultural affairs Asaduzzaman Noor and former state minister for Civil Aviation and Tourism M Mahbub Ali were arrested from different locations of the city last night..A team of Detective Branch (DB) arrested Asaduzzaman Noor at 11:00pm from Nawratan colony on Bailey Roa

1h ago