বিএসএফ ও ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের নির্যাতনে বাংলাদেশির মৃত্যুর অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও সেদেশের গরু ব্যবসায়ীদের নির্যাতনে বাংলাদেশি এক গরু ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ (২৬ নভেম্বর) ভোরে দামুরহুদা উপজেলার হুদারপাড়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম আবদুল গনি (৩৩)। তিনি দামুরহুদা উপজেলার চারুলিয়া গ্রামের তাহের মণ্ডলের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তিকে বেধড়ক পেটানো হয়েছে এবং তার পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে।
আবদুল গনির স্ত্রী ইসমত আরা জানান, গনি আজ ভোররাত সাড়ে তিনটার দিকে অপর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে হুদারপাড়া সীমান্তে গরু আনতে গিয়েছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
“ভোর পাঁচটার দিকে আমি জানতে পারি যে, সীমান্ত থেকে গনিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে”, বলেন তিনি।
গনিকে এরপর চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল সাড়ে আটটার দিকে মারা যান তিনি।
হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক সৌরভ হোসেন জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা গেছেন আবদুল গনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গনির এক সঙ্গী জানান, আজ পূর্ব লেনদেনের বকেয়া নিয়ে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গনির বাকবিতণ্ডা হয় এবং এরপর তারা তাকে ধরে নিয়ে যায়।
“পরে আমি জানতে পারি যে, গনিকে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার ৫৪ মালোয়াপাড়া ক্যাম্পে নিয়ে সেইসব গরু ব্যবসায়ী ও বিএসএফ সদস্যরা মিলে নির্মমভাবে নির্যাতন করে”, বলেন তিনি।
এরপর গুরুতর আহত অবস্থায় গনিকে সীমান্তের ৮৭ নম্বর সীমান্ত পিলার সংলগ্ন বাংলাদেশ অংশে ফেলে রাখা হয়।
চুয়াডাঙ্গায় বিজিবি-৬ এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খালিকুজ্জামান জানান, ঘটনার প্রকৃত কারণ জানতে তারা সীমান্তের ওপারে কর্মরত বিএসএফ কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি দিয়েছেন।
“গনিকে কারা ধরে নিয়ে গিয়েছিলো এবং কীভাবে তিনি আহত হয়েছিলেন, সে সম্পর্কে আমরা এখনও ধোঁয়াশায় রয়েছি”, বলেন তিনি।
Comments