‘অনেক মেয়েকে দেখেছি বোরখা পরে লুকিয়ে সার্ফিং করে’

বাংলাদেশে প্রথমবার সার্ফিং নিয়ে নির্মিত ছবি ‘ন ডরাই’ আগামী ২৯ নভেম্বর মুক্তি পাবে। স্টার সিনেপ্লেক্স প্রযোজিত প্রথম সিনেমাটি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত হয়েছে। এটি পরিচালনা করেছেন তানিম রহমান অংশু। ‘ন ডরাই’ ছবিটি মুক্তির আগে পরিচালক ছবিটির অনেক বিষয় ভাগাভাগি করলেন দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে।
তানিম রহমান অংশু। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে প্রথমবার সার্ফিং নিয়ে নির্মিত ছবি ‘ন ডরাই’ আগামী ২৯ নভেম্বর মুক্তি পাবে। স্টার সিনেপ্লেক্স প্রযোজিত প্রথম সিনেমাটি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত হয়েছে। এটি পরিচালনা করেছেন তানিম রহমান অংশু। ‘ন ডরাই’ ছবিটি মুক্তির আগে পরিচালক ছবিটির অনেক বিষয় ভাগাভাগি করলেন দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে।

‘ন ডরাই’ চলচ্চিত্রের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করার প্রথম কারণটা কী?

প্রথমত ছবির গল্প এবং চিন্তা ভাবনাটা আমার কাছে একেবারে নতুন লেগেছিলো। তারপর গত তিন বছর ধরে এই ছবিটির গল্প নিয়ে ঘষামাজা করা হয়েছে। শুটিংসহ চার বছর এই গল্পের সঙ্গে ছিলাম। এছাড়াও, সার্ফিং বিষয়টি আমার নিজের কাছেও অনেক অজানা ছিলো। গল্প নিয়ে কাজ করতে করতে গিয়ে অবাক হয়েছি।

কোন বিষয়গুলো অবাক করেছিলো?

কক্সবাজারে সার্ফিং নিয়ে যে কমিউনিটি আছে এ বিষয়টিই জানতাম না। সেখানে চার-পাঁচটা সার্ফিং ক্লাব আছে। যারা সার্ফিং করে তাদের অনেকেই কষ্ট করেন। তাদের অনেকেই দুবেলা খেতে পারুক বা না পারুক একবেলা সার্ফিং ঠিকই করবে। সেখানকার সাধারণ মানুষজন এটি পছন্দ করেন না। যেখানে ছেলেদেরই সার্ফিং করাই পছন্দ করা হয় না, সেখানে অনেক মেয়েকে দেখেছি বোরখা পরে লুকিয়ে সার্ফিং করেছে। বিষয়গুলো আমাকে অবাক করেছে। তাদের এই কষ্টগুলো খুব স্পর্শ করেছে।

সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা ছবিটি দেখে প্রশংসা করলেও কিছু সংলাপ নিয়ে আপত্তি করেছিলেন?

সেন্সর বোর্ডের নীতিমালা অনুযায়ী আমাদের কিছু দিক-নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যদিও কারেকশনগুলো খুব বেশি না, ছবির সৌন্দর্য যেনো নষ্ট না হয় সেভাবেই আমরা দর্শকের সামনে ‘ন ডরাই’ উপস্থাপন করবো।

স্টার সিনেপ্লেক্সের প্রথম প্রযোজিত ছবি পরিচালনা করেছেন? কেমন লাগছে?

একটা ভালোলাগা অবশ্যই আছে। তার জন্য মাহবুব রহমান রুহেল ভাই, জেফার সবার কাছে আমার অনেক কৃতজ্ঞতা। তারা অনেক বিষয়ে সাহায্য করেছেন ছবিটি তৈরি করার বিষয়ে। আমার মধ্যে অনেক ভালো লাগা ছড়িয়ে আছে। এখন দর্শক ছবিটি দেখলে আরও ভালো লাগবে।

ছবির প্রধান দুই অভিনেতা শরিফুল রাজ ও সুনেরাহ বিনতে কামাল সম্পর্কে কিছু বলেন…

গল্পের চরিত্রটি নিয়ে যখন কাস্টিং বিষয়ে ভাবছিলাম তখন শরিফুল রাজের কথা আমার বারবার মনে হচ্ছিলো। এটা যে ধরনের চরিত্র এটা রাজ ছাড়া আর কাউকেই ভাবতে পারছিলাম না। আর সুনেরাহ কীভাবে চরিত্রের সঙ্গে মিলেমিশে গেছে ছবি না দেখলে তা বোঝা যাবে না। চরিত্র হয়ে উঠতে খুব কষ্ট করেছে দুজনই। পাঁচ-ছয় মাস ধরে তারা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা শিখেছেন।

‘ন ডরাই’ ছবিটি দর্শকরা কেনো দেখবেন বলে মনে করেন?

দর্শকরা ছবিটি দেখবেন তার প্রথম কারণ হলো, এটি নতুন দিনের গল্প। এই গল্পগুলো সবার জানা উচিত। ‘ন ডরাই’ শব্দের মানে হলো ‘ভয় করি না’। ছবিতে সমাজ ও পরিবারের ভয়কে জয় করা এক নারীর গল্প তুলে ধরা হয়েছে, যা অন্য নারীদের উৎসাহিত করবে বলে মনে করি।

Comments

The Daily Star  | English

Khagrachhari violence: 3 dead, 4 sent to CMCH 'with bullet wounds'

Three indigenous people died of their injuries at a hospital in Khagrachhari yesterday and early today, hours after arson attacks and violence in the district

31m ago