‘সিনেমার নায়ক হব না বলে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলাম’

আসিফ আকবর। ছবি: শাহরিয়ার কবির হিমেল

শ্রোতাপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর সংগীতাঙ্গনে ২০ বছর অতিবাহিত করেছেন। গায়ক জীবনে অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। গানের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো দেশের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য মিউজিক্যাল ফিল্ম ‘গহীনের গান’-এ প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন। বাংলাঢোলের প্রযোজনায় ছবিটি পরিচালনা করেছেন সাদাত হোসাইন। আগামী ২০ ডিসেম্বর ছবিটি সরা দেশে মুক্তি পাবে। ছবি মুক্তির আগে সিনেমায় প্রথম অভিনয় নিয়ে অনেক অজানা বিষয় ভাগাভাগি করলেন দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে।

গানের মানুষ হিসেবে পরিচিত কিন্তু এবারই প্রথম বড় পর্দায় নায়ক হিসেবে দেখা যাবে আপনাকে। হঠাৎ করে সিনেমায় আসার কারণটা কী ?

অভিনয় নিয়ে সবসময় আমার মধ্যে একটা একটা ভয় কাজ করে। গানের ভিডিওতে অভিনয় করতে খুব বেশি ইচ্ছা করে না। শ্যুটিং আমার কাছে একটা আতঙ্ক। অনেক বছর আগে সিনেমার পরিচালক শাহীন সুমন আমার আমাকে বলেছিলেন আমি অভিনয় করতে পারি। সেই সময়ে আমাকে সিনেমার নায়ক বানানোর জন্য ১০ লাখ টাকা অগ্রিম পারিশ্রমিক নিয়ে এসেছিলেন। সিনেমায় অভিনয় করব না বলে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলাম।

তাহলে ‘গহীনের গান’ সিনেমায় অভিনয় করতে কী কিভাবে রাজী হলেন?

এটা আমার জন্য একটা অপ্রত্যাশিত প্রজেক্ট। এই ছবির পরিচালক সাদাত হোসাইনের ধৈর্য আমাকে মুগ্ধ করেছে। যারা ছবিটা প্রযোজনা করেছে তারা আমার প্রাণের মানুষ। গানগুলো নিয়ে পরিচালক এতো সুন্দর গল্প আর স্ক্রিপ্ট সাজিয়েছেন যেটা দেখে আর না করতে পারিনি।

সিনেমায় প্রথম অভিনয় করতে গিয়ে কোন সমস্যা হয়নি?

এই ছবিতে যারা অভিনয় করেছেন সবাই সুন্দর অভিনয় করেন। বিশেষভাবে তানজিকা আমিন আমাকে ধরে ধরে অভিনয় করতে শিখিয়েছে। তার কারণেই অভিনয় করতে পেরেছি। অন্য যারা ছিলেন বুঝিয়ে দিয়েছেন কীভাবে অভিনয় করতে হয়। প্রায় ২০ মাস আমরা এই সিনেমার শ্যুটিং করেছি।

সিনেমাটা মুক্তি পাবে আগামী কিছুদিনের মধ্যে এমন মুহূর্তে কাউকে মিস করছেন?

ভীষণভাবে মিস করছি আমার আম্মা আর আব্বাকে। বিশেষ করে আমার আম্মাকে তিনি থাকলে অনেক খুশি হতেন। পরিচালক শাহীন সুমন তিনিই প্রথম আমার আম্মাকে বলেছিলেন আমি শুধু গান গাইতে না অভিনয়ও করতে পারি।

‘গহীনের গান’ সিনেমাটা মানুষ কেন দেখবে বলে মনে করেন?

ছবিটাতে প্রতিটি মানুষ তাদের নিজেদের উপকরণ খুঁজে পাবে। ছবিটার গল্প এমন ভাবে বলা হয়েছে যে আমার মনে হয় ১০-২০ বছর পরে হলেও মানুষ এটা দেখবে। এটা হচ্ছে প্রতিটা মানুষের জীবনের গল্প। কোনো না কোন ক্ষেত্রে সেটা মিলে যাবে। আর সাদাত হোসাইন একজন খাঁটি গল্পকার এবং কাহিনীকার তাই মানুষ ছবিটা দেখবে।

গল্পটা যদি পাঠকদের সঙ্গে একটু ভাগাভাগি করেন।

একটা মানুষের যে নিঃসঙ্গতা থাকে ছেলে মেয়েরা বড় হয়ে গেলে তাদের ছেড়ে চলে যায়। মায়েরা কাছে থাকলেও বাবারা কিন্তু নিঃসঙ্গই থাকে। একজন বাবা তার সন্তানের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে থাকেন এমনই গল্প আছে ছবিটাতে। বাকীটা পর্দায় দেখতে হবে।

ছবির অন্য কলাকুশলীদের বিষয়ে জানতে চাই।

ছবির ছয়টা গানের সুর ও লেখা তরুণ মুন্সির। দুটি গান রচনা করেছেন রাজীব আহমেদ। এবং একটি গান লিখেছেন পরিচালক সাদাত হোসাইন। ‘বন্ধু তোর খবর কী রে’ গানটির সুর করেছেন পল্লব স্যানল ও সংগীত পরিচালনা করেছেন পার্থ মজুমদার। ছবিতে অভিনয় করেছেন সৈয়দ হাসার ইমাম, তমা মির্জা, তানজিকা আমিন, আমান রেজা, কাজী আসিফ ও তুলনা।

আবার কোন নতুন সিনেমায় দেখা যাবে আপনাকে?

ঐতিহাসিক গল্প নিয়ে কোনো সিনেমা হলে তাতে অভিনয় করতে পারি। যেমন হাজী শরীয়তুল্লাহ নিয়ে সিনেমা হলে অভিনয় করব।

Comments

The Daily Star  | English
NCP will not accept delay in Teesta master plan

Won’t accept any implementation delay: Nahid

National Citizen Party Convener Nahid Islam yesterday said his party would not accept any delay or political maneuver over implementing the Teesta master plan.

4h ago