সংসারের শিকল থেকে বেরিয়ে আসার গল্প

শরিফুল রাজ ও সুনেরাহ বিনতে কামাল। ছীব: সংগৃহীত

স্টার সিনেপ্লেক্স প্রযোজিত প্রথম সিনেমা “ন ডরাই” ২৯ নভেম্বর (শুক্রবার) মুক্তি পাচ্ছে। পরিচালনা তানিম রহমান অংশু  পরিচালিত এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন শরিফুল রাজ ও সুনেরাহ বিনতে কামাল। সার্ফিং নিয়ে বাংলাদেশে নির্মিত প্রথম সিনেমা এটি। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত হয়েছে “ন ডরাই”। ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন কলকাতার শ্যামল সেনগুপ্ত। ছবি মুক্তির কয়েকদিন আগে ছবির অন্যতম দুইজন অভিনেতা শরিফুল রাজ ও সুনেরাহ বিনতে কামাল কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে।

সার্ফিং নিয়ে নির্মিত “ন ডরাই” ছবিতে কাজের প্রস্তুতি কেমন ছিল?

শরিফুল রাজ: ছবির পরিচালক অংশু ভাই আমাকে ছবিতে নেবার পরই ট্রেনিং-এ যাই। কারণ, সার্ফিং পারতাম না। সাঁতার ভালো পারি, কিন্তু সমুদ্রের ঢেউের সঙ্গে খেলা করা অত সহজ ছিল না। যারা সার্ফার তারা ছোট থেকেই শেখে। কিন্তু আমাকে শিখতে হয়েছে তিন মাসে। ট্রেনিংয়ের সময় বড় বড় ঢেউ গেছে আমার উপর দিয়ে। বড় এক্সিডেন্ট হতেও পারত! এক্ষেত্রে এমনও হয়েছে কয়েকবার নিঃশ্বাস নিয়েছি পানির উপরে এসে।

সুনেরাহ বিনতে কামাল:  “ন ডরাই” সিনেমার প্রত্যেকেই ভীষণ মেধাবী। আর মেধাবীদের সঙ্গে কাজ করতে গেলে অনেককিছু সহজেই শেখা হয়ে যায়। এমন একটি সিনেমা দিয়েই ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখতে চেয়েছিলাম। আমার সেই ইচ্ছাটা পূরণ হয়েছে। টিমের সবার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও অসাধারণ। সার্ফিং শেখার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে আমাকে।

চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষাও তো শিখেতে হয়েছে।

শরিফুল রাজ: কক্সবাজারের স্থানীয় গল্প তাই তাই সেখানকার ভাষা শেখা অবধারিত ছিল। ভাষা শেখার জন্যও ফাইট করতে হয়েছে। এজন্য একজন ভালো মেন্টর পেয়েছিলাম। হয়তো সেখানকার ভাষায় কথা বলতে পারবো না, তবে স্ক্রিপ্টে যা ছিল তা রপ্ত করেছিলাম। কাজের পর আরেক চ্যালেঞ্জ ছিল পরিচালক, মেন্টর হ্যাপি কিনা! ফাইনালি তারা হ্যাপি হয়। “ন ডরাই” আমার জীবনের অন্যতম একটা ভ্রমণ।

সুনেরাহ বিনতে কামাল: “ন ডরাই” বাংলাদেশের নতুন বিষয়বস্তু। এই বিষয়ে আগে কখনও সিনেমা হয়নি বাংলাদেশে। আর চট্টগ্রামের ভাষা শেখার জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। ছবির চরিত্র আয়েশা হবার প্রাণপন একটা চেষ্টা ছিল। সবকিছুর জন্য পরিচালককে ধন্যবাদ দিতে চাই। আমাকে এমন একটি চরিত্রে নেবার জন্য।

‘ন ডরাই’ ছবিটাতো নারী প্রধান ছবি। আপনার চরিত্রের বিশেষত্ব কী ছবিতে?

শরিফুল রাজ: নারীর সম্মানের জায়গাটা আমার কাছে অনেক। যখন গল্প হাতে পাই, তখন নারী প্রধান গল্প কিনা সেভাবে নেইনি। আমার চরিত্রের জায়গাটা দেখেছি। দেখলাম আমার চরিত্রটি ঠিকঠাক আছে। আমি অভিনেতা হব, এটাই করতে আমার মন চায়। এটাই আমার পেশা। ছবির ‘যন্ত্রণা’ গানটা রিলিজের পর ক্লাস ফোর-ফাইভে পড়া কিছু শিক্ষার্থী আমাকে জানিয়েছে এই গানটা তাদের ভালো লেগেছে। তারা টাকা জমাচ্ছে। তাদের স্কুলের ম্যাডামকে নিয়ে হলে গিয়ে “ন ডরাই” দেখবে।

“ন ডরাই” ছবিটা দেখতে মানুষ কেন হলে আসবে বলে মনে করেন?

শরিফুল রাজ: ছবিটার জন্য অনেক কষ্ট করেছি। চরিত্র হয়ে উঠার চেষ্টা করেছি। স্থানীয় ভাষা থেকে শুরু করে তাদের জীবনযাপন কেমন, সেটা নিজেদের মধ্যে ধারণের চেষ্টা করেছি। আমার ধারনা নতুন ধরনের এই ছবিটাকে মানুষ আপন করে নিবে।

সুনেরাহ বিনতে কামাল: “ন ডরাই” ছবির কন্টেন্ট মানুষকে হলে নিয়ে আসবে। কারণ আমাদের সিনেমার দর্শকরা যেমন কন্টেন্ট চান “ন ডরাইতে” তেমন কন্টেন্টই আছে। তার উপর এমন বিষয়বস্তু নিয়ে আগে কখনও সিনেমা হয়নি বাংলাদেশে। সেই কারণে দর্শকরা হলে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।

Comments

The Daily Star  | English
US wants Bangladesh trade plan,

Bangladesh to push for tariff cuts in USTR talks in Washington today

Bangladesh has been engaged in negotiations to sign a tariff agreement with the US

57m ago