নওগাঁর সেই চাষিরা পেলেন ৮০০ আমের চারা
নওগাঁ জেলার সাপাহার থানার তিলনা ইউনিয়নের জামালপুর হিন্দুপাড়া এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত আম চাষিদের মধ্যে দরিদ্র চ্যারিটি ফাউন্ডেশন নামের একটি সংগঠন ৮০০ আমের চারা বিতরণ করেছে।
গতকাল (৩০ নভেম্বর) বিকালে ফাউন্ডেশনের সভাপতিসহ কয়েকজন সদস্য ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ‘মধ্যে বারি ফোর’ জাতের ৮০০ আমের চারা বিতরণ করেন।
গত ১৩ নভেম্বর রাতে দুর্বৃত্তরা ১২ চাষির প্রায় ৬০ বিঘা জমিতে লাগানো আম বাগানের ১০ হাজার আমের চারা কেটে ফেলে। তাদের প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান চাষিরা।
ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের একজন রায়হান সিদ্দিক বলেন, “দুর্বৃত্তরা একরাতে আমাদের প্রায় ১০ হাজার আমের গাছ কেটে দিলো। আম বাগানগুলো সাহাপার এবং পোরশা উপজেলায় হওয়ায় আমরা দুই থানায় অভিযোগ করি। কিন্তু, এখনও উল্লেখযোগ্য কোনো বিচার পাইনি। সাপাহার থানা পুলিশ পাঁচজনকে ধরেছিলো। তাদের মধ্যে চারজনকে ছেড়ে দিয়েছে এবং একজন জামিনে জেল থেকে বেরিয়ে এসেছে।”
“এখনো আতঙ্কে দিন কাটছে আমাদের। নতুন করে চারা লাগাতে ভয় পাচ্ছি,” যোগ করেন তিনি।
রায়হান জানান, ঢাকা থেকে দরিদ্র চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের সদস্যরা এসে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। ৮০০ আমের চারা হাতে পাওয়ায় তিনি আনন্দ প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে সাপাহার থানার ওসি আব্দুল হাই দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “ঘটনার পরে আমরা এলাকার কিছু সন্দেহভাজন লোককে ধরেছিলাম। পরে জানতে পারি এদের চারজন ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তাই তাদের ছেড়ে দিয়েছি। এখন বিষয়টি নিয়ে পোরসা থানা পুলিশ এবং আমরা তদন্ত করছি। আসল অপরাধীদের খোঁজ পেয়েছি। খুব শিগগির তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।”
দরিদ্র চ্যারিটি ফাউন্ডেশনের (ডিসিএফ) ট্রেজারার কাজী রশিদুল অনিক বলেন, “আমরা বন্ধুরা মিলে এই ফাউন্ডেশন করি। প্রত্যেক বছর আমরা উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করি। আমরা এ বছর সিদ্ধান্ত নেই যে ২০২০ সালের মধ্যে আমরা ৫ লাখ বৃক্ষ রোপণ করবো। এর মধ্যে আমরা জানতে পারি যে নওগাঁ জেলার সাপাহারে এই ধরনের একটি ঘটনা ঘটেছে। তাই ঢাকা থেকে এসে তাদের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ করি।”
আমের চারা বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান শাহীন, সেক্রেটারি আবদুল্লাহ আল মামুন, ট্রেজারার কাজী রাশিদুল মোবারক, বগুড়া থেকে ছিলেন সংগঠনের সদস্য আহসানুল কবির ডালিমসহ আরও অনেকে।
Comments