পেট্রোল পাম্প মালিকদের ধর্মঘট, ২১ জেলায় তেল সরবরাহ বন্ধ

রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে পেট্রোল পাম্প মালিকরা। ১৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ রেখেছেন তারা।
১ ডিসেম্বর ২০১৯, পেট্রোল পাম্প মালিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে খুলনায় আটকে থাকা তেলের ট্যাঙ্ক-লরি। ছবি: স্টার

রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে পেট্রোল পাম্প মালিকরা। ১৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আজ (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ রেখেছেন তারা।

খুলনা, বরিশাল এবং বৃহত্তর ফরিদপুরের ২১টি জেলায় তেল সরবরাহ করতে পারছে না রাষ্ট্রায়ত্ত তিন তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা।

বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাঙ্ক-লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা গতকাল অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ঘোষণা দেন।

খুলনা শহরের খালিশপুর ও দৌলতপুর এলাকায় কয়েকশ তেলের ট্যাঙ্ক-লরি আটকে থাকতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন আমাদের জেলা সংবাদদাতা।

দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে খুলনা বিভাগীয় ট্যাঙ্ক-লরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ নুর ইসলাম বলেন, “আমরা ডিপোগুলোতে তেল লোড বা আনলোড করা থেকে বিরত আছি। আজ আমরা নতুন রাস্তার মোড়ে আমাদের বিভাগীয় কার্যালয়ে একটি সভার আয়োজন করে, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

তাদের দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে জ্বালানি বিক্রি থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ কমিশন প্রদান, ট্যাঙ্ক-লরি শ্রমিকদের জন্য পাঁচ লাখ টাকার দুর্ঘটনা বীমা, ট্যাঙ্ক-লরির ভাড়া বৃদ্ধি এবং পুলিশি হয়রানি বন্ধ করা।

বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, গত ২৬ নভেম্বর বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাঙ্ক-লরি মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতারা তাদের দাবি পূরণের জন্য কর্তৃপক্ষকে গতকাল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিলো।

সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি এমএ মোমিন দুলাল বার্তা সংস্থাটিকে জানান, রাজশাহী, রংপুর ও খুলনার প্রায় ২ হাজার পেট্রোল পাম্পে জ্বালানি বিক্রি ও সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

দুলালের বরাত দিয়ে আরও বলা হয়, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ১৫ ডিসেম্বর সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago