পার্বত্যবাসীর মধ্যে হতাশা- অসন্তোষ-ক্ষোভ দেখা দিয়েছে: সন্তু লারমা
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি নিয়ে পার্বত্যবাসীর মধ্যে চরম হতাশা, অসন্তোষ ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি ও আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা।
তারা নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন বলেও মনে করেন তিনি।
“সরকার অসত্য ও ভিত্তিহীন প্রচারণা চালাচ্ছে,” উল্লেখ করে তিনি বলেন, “চুক্তি স্বাক্ষরের পর ২২ বছর অতিক্রান্ত হলেও সরকার চুক্তির মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ বাস্তবায়ন করেনি।”
আজ (১ ডিসেম্বর) চুক্তির ২২ বছর পূর্তিতে রাজধানীর একটি হোটেলে জনসংহতি সমিতি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সন্তু লারমা বলেন, “পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি যে সরকারের আমলে স্বাক্ষরিত হয়েছিলো সেই আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার বর্তমানে এক নাগাড়ে ১১ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকলেও চুক্তির অবাস্তবায়িত বিষয়সমূহ বাস্তবায়নে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ ও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।”
“পক্ষান্তরে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিসহ জুম্ম জাতিগোষ্ঠীর জাতীয় অস্তিত্ব চিরতরে বিলুপ্তির ষড়যন্ত্র অব্যাহতভাবে চালিয়ে যাচ্ছে,” যোগ করেন জনসংহতি সমিতির সভাপতি।
জনসংহতি সমিতির মতে, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মোট ৭২টি ধারার মধ্যে মাত্র ২৪টি ধারা বাস্তবায়িত হয়েছে, ৩৪টি ধারা সম্পূর্ণভাবে অবাস্তবায়িত এবং সরকার এসব ধারা লঙ্ঘন করে চলছে। অবশিষ্ট ১৪টি ধারা আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে।
সরকার দাবি করছে ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮টি ধারা সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করেছে। বাস্তবে সরকারের এই বক্তব্য সত্য নয় বলে মন্তব্য করেন সন্তু লারমা।
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক জলিমং মারমার সঞ্চালনায় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমার সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঐক্যন্যাপের আহ্বায়ক পংকজ ভট্টাচার্য্য, আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ও আদিবাসী বিষয়ক সংসদীয় ককাসের আহ্বায়ক অধ্যাপক মেজবাহ কামাল, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস প্রমুখ।
Comments