এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, এবছর সনাক্ত ৯১৯ জন

সরকারি একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, চলতি বছর দেশে মোট ৯১৯ জনকে এইচআইভি সংক্রামিত ব্যক্তি হিসেবে সনাক্ত করা হয়েছে। যা গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

সরকারি একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, চলতি বছর দেশে মোট ৯১৯ জনকে এইচআইভি সংক্রামিত ব্যক্তি হিসেবে সনাক্ত করা হয়েছে। যা গত ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জাতীয় এইডস/এসটিডি প্রোগ্রাম পরিচালিত এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, আক্রান্তদের মধ্যে ১৭০ জন্য আগেই আক্রান্ত ছিলেন।

গতকাল (১ ডিসেম্বর) বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত একটি সেমিনারে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।

মাইকোব্যাকটেরিয়াল রোগ নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিচালক এবং টিবিএল ও এএসপি-র লাইন পরিচালক মো. শামিউল ইসলাম প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।

১৯৮৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত দেশে মোট ৭,৩৭৪ জন এইচআইভি সংক্রামিত ব্যক্তি সনাক্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ১,২৪২ জন এই রোগে মারা গেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতি বছর এইচআইভি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০০০ সালে এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিলো মাত্র ৩২ জন। যা ২০০৯ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ২৫০ জনে।

আক্রান্তদের মধ্যে ৭৪ শতাংশ পুরুষ, ২৫ শতাংশ মহিলা এবং বাকি এক শতাংশ তৃতীয় লিঙ্গের।

জরিপে আরও বলা হয়, ইনজেকশনের মাধ্যমে মাদক গ্রহণের কারণে প্রায় ৩.৯ শতাংশ লোক এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে এইডস নির্মূল করা হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকার জেলা পর্যায়ের সমস্ত হাসপাতালে এইচআইভি পরীক্ষার সেবা ছড়িয়ে দিতে ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।

এই পরিকল্পনাগুলোর সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। যাতে বিদেশ থেকে ফেরা ব্যক্তিদের ওপর সঠিকভাবে নজর রাখা সম্ভব হয়।

সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আসাদুল ইসলাম এবং জাতীয় এইডস/এসটিডি নিয়ন্ত্রণের পরিচালক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম মিয়া।

“এইডস নির্মূলে প্রয়োজন জনগণের অংশগ্রহণ”, এটিই ছিলো এবছরের বিশ্ব এইডস দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় দিবসটি পালিত হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago