এমবাপে কাছে ১০ বছরের দায় মেটালেন দ্রগবা

১০ বছরের একটি বাচ্চা ছেলে দৌড়ে আসে তার প্রিয় তারকার কাছে। উদ্দেশ্য একটাই- একটি ছবি তুলে স্মৃতি ধরে রাখবে সে। কিন্তু প্রিয় তারকা তাকে সরাসরি না বলে দেয়! স্বাভাবিকভাবেই হৃদয় ভাঙে সে বালকের। তিনি আর কেউ নন, হালের অন্যতম সেরা তারকা কিলিয়ান এমবাপে! আর ফরাসি স্ট্রাইকার ছবি তুলতে গিয়েছিলেন আইভরি কোস্টের কিংবদন্তি খেলোয়াড় দিদিয়ের দ্রগবার সঙ্গে!
ছবি: টুইটার

১০ বছরের একটি বাচ্চা ছেলে দৌড়ে আসে তার প্রিয় তারকার কাছে। উদ্দেশ্য একটাই- একটি ছবি তুলে স্মৃতি ধরে রাখবে সে। কিন্তু প্রিয় তারকা তাকে সরাসরি না বলে দেয়! স্বাভাবিকভাবেই হৃদয় ভাঙে সে বালকের। তিনি আর কেউ নন, হালের অন্যতম সেরা তারকা কিলিয়ান এমবাপে! আর ফরাসি স্ট্রাইকার ছবি তুলতে গিয়েছিলেন আইভরি কোস্টের কিংবদন্তি খেলোয়াড় দিদিয়ের দ্রগবার সঙ্গে!

দ্রগবা তখন কি আর জানতেন সেই ১০ বছরের বাচ্চা একদিন বিশ্ব জয় করবে! এর মধ্যেই ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন এমবাপে। সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কারও মিলেছে তার। সে তরুণ সোমবার রাতে প্যারিসের থিয়েটার ডু চ্যাটেলেটে ব্যালন ডি’অর- এর অনুষ্ঠানে এলেন। গত বারের কোপা ট্রফি জয়ী হওয়ায় উঠলেন মঞ্চে। তাছাড়া ব্যালন ডি’অর-এর সম্ভাব্য বিজয়ীর প্রাথমিক তালিকাতেও ছিল তার নাম। আর সে মঞ্চেই এমবাপের অনেক দিনের পুরনো আক্ষেপ মিটিয়েছেন দ্রগবা।

প্যারিসে এদিন বেশ এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে ঘোষণা করা হয় এবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ীর নাম। রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো সম্মানজনক এই পুরস্কারটি জিতে নেন বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি। অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন দ্রগবা। সেখানেই এমবাপের সঙ্গে সেলফি তুলেছেন দ্রগবা। মিটিয়েছেন দীর্ঘ ১০ বছরের দায়।

ছবি তোলার আগে সাবেক চেলসি তারকা দ্রগবা বলেছেন, ‘১০ বছর আগে চেলসি ও বার্সেলোনা ম্যাচের পর একটি বাচ্চা আমার কাছে আসে এবং ছবি তুলতে চায়। ওই দিন আমি না বলে দিয়েছিলাম রেফারির কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তের কারণে। পরে আমি জানতে পেরেছি যে সে ছেলেটি হলো কিলিয়ান এমবাপে। আমি এখন আমার দায় মেটাতে চাই।’

২০০৯ সালের ওই ম্যাচ শেষে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল চেলসি। নরওয়ের রেফারি টম হ্যানিং ওভারবোর ওপরে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তুলেছিলেন দ্রগবারা। তাদের দাবি ছিল, স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে একাধিক সিদ্ধান্ত চেলসির বিপক্ষে গিয়েছে। তারপরও সুবিধাজনক অবস্থানেই ছিল ব্লুজরা। ন্যু ক্যাম্পে বার্সার সঙ্গে ড্র করার পর ঘরের মাঠে সপ্তম মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল চেলসি। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার অসাধারণ গোলে ম্যাচে ফিরেছিল বার্সা। প্রতিপক্ষের মাঠে গোলের সুবাদে তারা উঠে গিয়েছিল ফাইনালে। এমন ম্যাচে হারের পর সেদিন মেজাজ চটে থাকারই তো কথা ছিল দ্রগবার!

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago