আরও বেশি কিছু করতে পারি, ব্যালন ডি’অর জয়ের পর মেসি

lionel messi ballon d'or
ছবি: এএফপি

সারা বিশ্বের সাংবাদিকদের ভোটে ভার্জিল ভ্যান ডাইক ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে হারিয়ে ফরাসি সাময়িকী ‘ফ্রান্স ফুটবল’- এর পুরস্কার ব্যালন ডি’অর জিতে নিয়েছেন লিওনেল মেসি। রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো। অসামান্য এই অর্জনের পর বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন তারকা ধন্যবাদ জানিয়েছেন সবাইকে। বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ে আরও কয়েক বছর সেরাটা দিয়ে যেতে পারবেন এবং আরও দারুণ কিছু করে দেখাতে পারবেন।

এতদিন পর্তুগিজ তারকা রোনালদোর সঙ্গে পাঁচটি করে ব্যালন ডি’অর নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন মেসি। সোমবার রাতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে ছাড়িয়ে গেছেন ৩২ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। প্যারিসে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে সম্মানজনক পুরস্কারটি জিতে নেন বার্সা অধিনায়ক। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন গতবারের বিজয়ী রিয়াল মাদ্রিদের ক্রোয়েশিয়ান তারকা লুকা মদ্রিচ। এর আগে মেসি সবশেষ ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন ২০১৫ সালে।

দারুণ প্রাপ্তির পর মেসি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তার পরিবার এবং ক্লাব সতীর্থদের ও সাংবাদিকদের প্রতি। ফরাসি গণমাধ্যম লেকিপের কাছে তিনি বলেছেন, ‘যেসব সাংবাদিকরা আমাকে ভোট দিয়েছেন এবং বেছে নিয়েছেন, তাদেরকে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই। তাদের জন্যই আমি পুরস্কারটি পেয়েছি। আমার ক্লাবের সতীর্থদেরও ধন্যবাদ জানাতে চাই। এটা অবিশ্বাস্য, সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।’

‘আমি ধন্যবাদ দিতে চাই আমার পরিবার এবং আমার সন্তানদের। আমি স্ত্রী আমাকে বলেছে যে আমার কখনোই স্বপ্ন দেখা, পরিশ্রম করা, উন্নতি করা এবং আনন্দ করা বন্ধ করা উচিৎ না। আমি ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

গেল মৌসুমটা দারুণ কেটেছিল মেসির। তার নৈপুণ্যে স্প্যানিশ লা লিগায় চ্যাম্পিয়ন হয় বার্সেলোনা। দলটিকে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ও কোপা দেল রের ফাইনালে ওঠাতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন তিনি। তার ব্যক্তিগত নৈপুণ্যও ছিল চোখ ধাঁধানো। লা লিগায় সর্বোচ্চ ৩৬ গোল করেছিলেন তিনি। জিতেছিলেন লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পিচিচি ট্রফি ও ইউরোপের সব লিগ মিলিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শ্যু। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও সর্বোচ্চ ১২ গোল করেছিলেন তিনি।

ক্যারিয়ারে অসংখ্য কীর্তি ও অর্জনের মালিক হলেও মেসি মনে করছেন, তিনি থেমে যেতে চান না এবং তার আরও অনেক কিছু দেওয়ার আছে, ‘ব্যক্তিগত এবং খেলোয়াড়ি দিক থেকে, আমি খুবই আনন্দিত। আমি সবসময় নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করি। আমার বিশ্বাস আছে যে আমি আরও বেশি কিছু করতে পারি। এই পুরস্কারটি সবসময়ই বিশেষ কিছু। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো দলগতভাবে সাফল্য পাওয়া।’

‘তবে আমি খুবই খুশি। এই স্বীকৃতিটা আমাকে গর্বিত করে। আমি হয়তো আরও জিততে পারি (ব্যালন ডি’অর)। কিন্তু কবে তা জানি না।’

‘আমি এটা কখনো (ষষ্ঠবারের মতো জেতা) কল্পনাও করিনি। সত্যি বলতে, আমি একবার জেতার কথাও কখনো ভাবিনি।’

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

7h ago