চালকের মোবাইল ব্যবহার সনাক্ত করবে ক্যামেরা!

গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার সনাক্ত করতে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশেষ ক্যামেরা।
mobile.jpg
চলন্ত গাড়িতে মোবাইল ব্যবহার সনাক্ত করার প্রযুক্তি চালু অস্ট্রেলিয়ায়। ছবি: সংগৃহীত

গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার সনাক্ত করতে অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশেষ ক্যামেরা।

সিএনএন-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বলা হয়, এই উচ্চ প্রযুক্তির ক্যামেরা গাড়ি চালানোর সময় যদি কোনো চালক মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, তা সনাক্ত করতে সক্ষম। এটি বিশেষভাবে এই কাজের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।

নিউ সাউথ ওয়েলসের পরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অ্যান্ড্রু কনস্ট্যান্স বলেন, “বিশ্বে প্রথম এই প্রযুক্তিটি ক্যামেরার মাধ্যমে মোবাইল ফোনের অবৈধ ব্যবহার সনাক্ত করবে।”

ক্যামেরাগুলি চলন্ত গাড়ির ছবি তুলে তা পর্যালোচনা করবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সেই ছবিতে চালক মোবাইল ব্যবহার করছেন কী না, তা সনাক্ত করতে পারবে।

এমন কিছু সনাক্ত করলে তা অনুমোদিত কর্মীরা যাচাই করবেন। প্রয়োজনে চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্কাই নিউজ অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, আগামী তিন বছরের মধ্যে, নিউ সাউথ ওয়েলস জুড়ে কোনো সতর্কতা চিহ্ন না দিয়ে ৪৫টি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। জায়গাগুলোও থাকবে সবার অজানা।

প্রথম তিন মাস এই প্রযুক্তিতে ধরা পড়া চালকদের একটি সতর্কতামূলক চিঠি দেওয়া হবে। তারপরে অপরাধীদের ৩৪৪ ডলার বা স্কুল জোনে হলে ৪৫৭ ডলার জরিমানা এবং ড্রাইভার লাইসেন্সে পেনাল্টি পয়েন্ট দেওয়া হবে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চলতি বছরের প্রথম দিকে এই প্রযুক্তিটি পরীক্ষামূলকভাবে চালানোর সময় এক লাখেরও বেশি চালককে সনাক্ত করা হয়েছে, যারা অবৈধভাবে মোবাইল ব্যবহার করছিলেন।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, নিউ সাউথ ওয়েলসে সড়ক দুর্ঘটনায় এই বছর প্রায় ৩২৯ জন মারা গেছেন। ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিলো ৩৫৪।

রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২১ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার পরিমাণ ৩০ শতাংশ কমাতে চায় নিউ সাউথ ওয়েলস কর্তৃপক্ষ।

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

Now