পুরস্কার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত গাড়ি থেকে নামেননি রোনালদো!
ফ্রান্সে যখন ফুটবলের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার ব্যালন ডি'অর ঘোষণার অনুষ্ঠান চলছিল, ইতালিতে তখন চলছিল সিরি'আর বর্ষসেরা পুরস্কার ঘোষণার অনুষ্ঠান। ফ্রান্সে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে হটিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো ব্যালন ডি'অর জিতে নেন লিওনেল মেসি। আর ওইদিকে ইতালিয়ান লিগের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে নেন রোনালদো। তবে এ পুরস্কার ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত নিজের গাড়ির মধ্যেই অপেক্ষা করেন এ পর্তুগিজ তারকা। এমন সংবাদই প্রকাশ করেছে ইতালিয়ান গণমাধ্যম গাজেত্তা দেল্লো।
সংবাদ অনুযায়ী, সোমবার রাতে মিলানে হওয়া সে অনুষ্ঠানে নির্দিষ্ট সময়েই পৌঁছেছিলেন রোনালদো। তবে নিজের দেহরক্ষী ও সাবেক এমএমএ ফাইটার গঞ্জালো সালগাদোর সঙ্গে গাড়ির মধ্যেই অবস্থান করছিলেন। অপেক্ষা করছিলেন পুরস্কার ঘোষণার। এমনকি গাড়িতে নিজের সামনে একটি জ্বলজ্বলে টর্চও জ্বালিয়ে রেখেছিলেন যাতে কোনো ফটোগ্রাফার তার ছবি তুলতে না পারেন। তবে পুরস্কার ঘোষণারই পরপরই গাড়ি থেকে বের হয়ে আসেন রোনালদো। এদিন ইতালির বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পাশাপাশি সেরা ফরোয়ার্ডের পুরস্কারও উঠেছে তার হাতে।
জুভেন্টাসের হয়ে আগের মৌসুমে দারুণ পারফরম্যান্স করায় পুরস্কারটি জিতে নেন এ পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। সিরি আ’র খেলোয়াড়, কোচ, রেফারি, সাংবাদিক, বর্তমান ও সাবেক টেকনিক্যাল কমিশনারদের সর্বসম্মতিক্রমে সিরি আ’র বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারটি তার হাতে তুলে দেওয়া হয়। তুরিনের ক্লাবের হয়ে গত মৌসুমে সব মিলিয়ে ২৮টি গোল করেন রোনালদো। লিগে ৩১ ম্যাচে ২১ গোল করে দলকে জিতিয়েছেন সিরি আ’র শিরোপা।
আর এ পুরস্কার জয়ের দিনে নতুন এক রেকর্ড গড়লেন রোনালদো। এই নিয়ে তিনটি ভিন্ন লিগের বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠল তার হাতে। এর আগে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে লিগের বর্ষসেরা পুরস্কার জিতেছিলেন। পরে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিয়ে জিতেছিলেন লা লিগার বর্ষসেরার পুরস্কার।
অন্যদিকে রোনালদো আর ভার্জিল ভ্যান ডাইককে হারিয়ে এ বছরের ব্যালন ডি’অর জিতে নিয়েছেন মেসি। প্যারিসে জমকালো এক অনুষ্ঠানে তার হাতে পুরস্কারটি তুলে দেন গতবারের বিজয়ী লুকা মদ্রিচ। সে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন রোনালদোও। কিন্তু মিলানে যাওয়ার জন্য সে অনুষ্ঠানে যোগ দেননি। অবশ্য এর আগে এই ইতালিতেই ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার ঘোষণার দিনেও অনুপস্থিত ছিলেন এ পর্তুগিজ।
সূত্র: দ্য মিরর, দ্য সান।
Comments