এবার ব্যালন ডি'অর জিতবেন নিজেও ভাবেননি মেসি

মৌসুমের শুরুতেই উয়েফার সেরা খেলোয়াড়ের খেতাব জিতে নেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক। তখন থেকেই ফুটবল মহলে রব উঠে যায় এবার সব পুরস্কার জিততে যাচ্ছেন লিভারপুলের এ ডাচ তারকা। এমনকি এটা ভেবেছিলেন খোদ লিওনেল মেসিও। সিএনএন রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন লিওনেল মেসির মা কেলিয়া মারিয়া কুচ্চিত্তিনি।
ফাইল ছবি

মৌসুমের শুরুতেই উয়েফার সেরা খেলোয়াড়ের খেতাব জিতে নেন ভার্জিল ভ্যান ডাইক। তখন থেকেই ফুটবল মহলে রব উঠে যায় এবার সব পুরস্কার জিততে যাচ্ছেন লিভারপুলের এ ডাচ তারকা। এমনকি এটা ভেবেছিলেন খোদ লিওনেল মেসিও। সিএনএন রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছেন লিওনেল মেসির মা কেলিয়া মারিয়া কুচ্চিত্তিনি।

সাক্ষাৎকারে মেসির মা বলেছেন, 'আমরা খুবই খুশি। আমরা এটা (ব্যালন ডি'অর পাওয়া) আশা করিনি। আমরা ভেবেছিলাম পঞ্চমটাই হয়তো শেষ। সত্যি বলতে কি, এটা অনেক বড় চমক। ও (মেসি) নিজেও এটা ভাবেনি। আমি জানিও না। ও এটা কিছু আগে জেনেছি কি না এটা আমি জানি না। তবে আমরা কিছুই জানতাম না।'

আর মেসির এমনটা ভাবা খুব স্বাভাবিকই। কারণ ভ্যান ডাইকের সঙ্গে তার প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা হয়েছে তুমুল। মাত্র দুই ভোটের ব্যবধানে জিতেছেন তিনি। পয়েন্টের ব্যবধানটা ছিল মাত্র ৭। মেসি পেয়েছেন ৬৮৬ পয়েন্ট। আর ৬৭৯ পয়েন্ট পেয়েছেন ভ্যান ডাইক। সাত মহাদেশের বাছাইকৃত সাংবাদিকদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হয় ব্যালন ডি'অর পুরস্কার। তাতে ইউরোপ ও এশিয়ার সাংবাদিকদের ভোটে ঠিকই এগিয়েছিলেন ভ্যান ডাইক। আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ও ওসেনিয়াতে এগিয়ে যান মেসি।

মাঠে গত মৌসুমটা দুর্দান্তই কাটানোয় এ পুরস্কার মিলেছে মেসির। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫১ ম্যাচ খেলে মেসি গোল করেন ৫০টি। কেবল লিগে ৩৬ গোল করায় জেতেন লা লিগা ও ইউরোপের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও ১২ গোল নিয়ে গোলদাতাদের তালিকায় শীর্ষে ছিলেন। ক্লাবের হয়ে জেতেন লিগ শিরোপা। কোপা আমেরিকায় তার দল আর্জেন্টিনা দখল করে তৃতীয় স্থান।

লিভারপুলের জার্সিতে গেল মৌসুমটা দুর্দান্ত ছিল ডিফেন্ডার ভ্যান ডাইকেরও। চোখ ধাঁধানো পারফর্ম করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। লিভারপুলকে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতে রাখেন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। জাতীয় দলের জার্সিতেও সফল তিনি। নেদারল্যান্ডসকে উয়েফা নেশন্স লিগের ফাইনালে ওঠানোর পেছনে অবদান ছিল তার।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago