স্বেচ্ছায় কিডনি দান করা যাবে: হাইকোর্ট
স্বেচ্ছায় কেউ চাইলে কিডনি দান করতে পারবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক্ষেত্রে কিডনি গ্রহীতা নিকটাত্মীয় না হলেও বাধা থাকবে না।
আদেশে হাইকোর্ট বলেন, স্বেচ্ছায় দানকারী ব্যক্তির কাছ থেকে কিডনি নেওয়ার আগে তার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা ধরা না পড়লেই কেবল তার কাছ থেকে কিডনি নেওয়া যাবে। তবে কোনো মদাকাসক্ত ব্যক্তি ডোনার হতে পারবেন না।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। নিকট আত্মীয়ের গণ্ডির বাইরে স্বেচ্ছায় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দানে বাধা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের প্রেক্ষিতে আজ এই আদেশ এসেছে।
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, রায়ের আলোকে হাইকোর্ট সরকারকে মানবদেহ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন, ১৯৯৯ সংশোধন করতে বলেছেন যেন নিকটাত্মীয়সহ ‘ইমোশনাল ডোনার’রা কিডনি দান করতে পারেন। বর্তমান আইন অনুযায়ী শুধুমাত্র নিকটাত্মীয়দের মধ্য থেকেই কিডনি নেওয়া যায়।
মানবদেহ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনের যে আইন এখন কার্যকর রয়েছে তার ২ (গ), ৩ ও ৬ ধারায় নিকটাত্মীয়ের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে জনৈক ফাতেমা জোহরা এক আবেদনে আইনের ওই ধারাগুলোর সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করেন।
ফাতেমা তার অসুস্থ মেয়ে ফাহমিদাকে একটি কিডিনি দান করেছিলেন। কিন্তু এক বছর বাদেই মেয়ের শরীরে প্রতিস্থাপন করা কিডনিটি বিকল হয়ে যায়। এর পর তিনি আরেকজন দাতা জোগাড় করতে সক্ষম হলেও আইনের বাধার কারণে কিডনি সংযোজন করা সম্ভব হয়নি।
ফাতেমা পরে এই আইনি বাধা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন হাইকোর্টে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া:
Comments