গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই দ্বিতীয় রাউন্ডে লিভারপুল
গত আসরের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। অথচ এবার গ্রুপ পর্বেই বাদ পড়ার শঙ্কায় ছিল দলটি। এদিন রেডবুল সলজবুর্গের মাঠে হারলেই বিদায় হয়ে যেত তারা। তবে কোন অঘটন ঘটতে দেয়নি চ্যাম্পিয়নরা। সলজবুর্গকে ২-০ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকেট কাটে অলরেডরা।
এ জয়ে ছয় ম্যাচে চারটি জয়, একটি ড্র ও একটি হারে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপের শীর্ষে থেকে প্রথম রাউন্ড শেষ করল লিভারপুল। সমান ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে তাদের সঙ্গী হয়েছে ইতালিয়ান ক্লাব নাপোলি। এদিন গেঙ্ককে ৪-০ গোলের ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে তারা।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ ও প্রতি আক্রমণে খেলতে থাকে দুই দল। পঞ্চম মিনিটেই গোল পেতে পারতো লিভারপুল। দিয়ান লভরেনের লম্বা পাস পেয়ে বাঁ প্রান্ত থেকে লক্ষ্যে দারুণ শট নিয়েছিলেন মোহাম্মদ সালাহ। কিন্তু তার চেয়েও দারুণ দক্ষতায় তা ফিরিয়ে দেন সলজবুর্গ গোলরক্ষক সিসান স্তানকোভিচ। পরের মিনিটে বাঁ প্রান্তে সাদিও মানের নেওয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি।
সপ্তম মিনিটে পর লিভারপুলকে দুই দফা রক্ষা করেন গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। প্রথমে হুয়াং হি চানের ফিরিয়ে দেন। আলগা পেয়েছিলেন তাকুমি মিনামিনো। তার শটও অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন এ ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক। পরের মিনিটে সুযোগ ছিল লিভারপুলেরও। মানের দূরপাল্লার শট বার পোস্ট ঘেঁষে বাইরে গেলে হতাশা বাড়ে সফরকারীদের।
১৯তম মিনিটে মানের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান সলজবুর্গ গোলরক্ষক। পাঁচ মিনিট পর হালান্ডের কোণাকোণি শট দারুণ দক্ষতায় ফেরান অ্যালিসন। ২৮তম মিনিটে অবিশ্বাস্য এক মিস করেন সালাহ। নেবি কেইটার বাড়ানো বলে ফাঁকায় বল পেয়েও বাইরে মারেন এ মিসরীয় তারকা। ম্যাচের যোগ করা সময়েও গোল পেতে পারতো সফরকারীরা। সালাহর বাড়ানো বলে ভালো শট নিয়েছিলেন কেইটা। কিন্তু গোলরক্ষক স্তানকোভিচ।
বিরতির দুই মিনিট পর এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ মিস করেন সালাহ। মানের বাড়ানো বলে একেবারে ফাঁকায় থেকেও বারপোস্টের উপর দিয়ে মারেন সালাহ। তিন মিনিট পর আবারো ফাঁকায় প্রায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন সালাহ। কিন্তু গোলরক্ষক এগিয়ে এসে রক্ষা করেন স্বাগতিকদের। পরের মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে নেওয়া হালান্ডের শট বাইরের জাল কাঁপায়।
৫৭তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পায় লিভারপুল। রবার্টসনের বাড়ানো পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছিলেন মানে। বার পোস্ট ছেড়ে তাকে আটকাতে গিয়েছিলেন গোলরক্ষক স্তানকোভিচ। তার মাথার উপর দিয়ে কেইটাকে কাটব্যাক করেন মানে। দারুণ হেডে লক্ষ্যভেদ করতে কোন ভুল করেননি গিনির এ মিডফিল্ডার।
ব্যবধান দ্বিগুণ করতে খুব বেশি সময় নেয়নি লিভারপুল। দুই মিনিট পর নিজেদের অর্ধ থেকে এক সতীর্থের বাড়ানো বলে অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে গোল করেন সালাহ। তবে এক ডিফেন্ডার হেড দিয়ে ঠেকাতে চেয়েছিলেন। ঠিকভাবে করতে না পাড়ায় বল পেয়ে যান সালাহ। গোলরক্ষককে কাটিয়ে দুরূহ কোণ থেকে দারুণ এক গোল দেন এ মিসরীয় তারকা।
৬৭তম মিনিটে হুয়াংয়ের দূরপাল্লার শট ঠেকিয়ে দেন অ্যালিসন। ১০ মিনিট পর সালাহর আরও একটি শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক স্তানকোভিচ। ৮২তম মিনিটে মানের শট ফিরিয়ে দেন এ গোলরক্ষক। ছয় মিনিট পর তো অবিশ্বাস্য এক মিস করেন মানে। একেবারে ফাঁকায় বল পেয়ে ছিলেন। কিন্তু তার শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বাইরে চলে যায়। ম্যাচের যোগ করা সময় সালাহর শট অল্পের জন্য বাইরে না গেলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো।
Comments