‘কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন, এমনকী রাষ্ট্রপতিও’

Donald Trump
ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

বছর শেষে অনেকেরই চোখ থাকে রাশিচক্রের পাতায়। সেখানে নিজের ‘ভবিষ্যৎ’র পাশাপাশি দেখে নেওয়া যায় বিশ্বনেতাদের ‘ভবিষ্যৎ’ও। কিন্তু, বছর শেষ হওয়ার আগেই আমেরিকার রাজনৈতিক আকাশে দেখা দিয়েছে ‘ইমপিচমেন্টের কালো মেঘ’।

ক্ষমতার অপব্যবহার ও কংগ্রেসের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ এনে বিরোধী ডেমোক্রেটরা দেশটির রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব এনেছেন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে গতকাল (১০ ডিসেম্বর) বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যে দুটি ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনা হয়েছে তা নিয়ে আগামী সপ্তাহেই গণপরিষদে ভোটের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই ভোটের ফলাফল কী হবে তা নিয়ে এখনো পরিষ্কার করে কিছু না বলা গেলেও বিশ্লেষকদের মতামত থেকে জানা যাচ্ছে- দু-চারজন বিদ্রোহী কংগ্রেস সদস্যের ভোটে ‘গণেশ উল্টে যেতেও পারে’।

ইমপিচমেন্ট নিয়ে প্রথম উদ্যোগ হচ্ছে- হাউজে ভোটের আগে প্রস্তাব দুটিকে জুডিশিয়ারি কমিটিতে পাস করিয়ে নিতে হবে। বিরোধী ডেমোক্রেটরা যেহেতু সেই কমিটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ তাই সেখান থেকে প্রস্তাব দুটি পাস করিয়ে নেওয়া তাদের জন্যে সহজ হবে।

যদি সবকিছু পরিকল্পনা মতো হয় তাহলে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাবটি আগামী সপ্তাহেই ভোটের জন্যে হাউজে উঠতে পারে। এ কথা বলা বাহুল্য যে হাউজে দুটি দলই তাদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে। কিন্তু, দু-চারজন ‘বিদ্রোহী’ কংগ্রেস সদস্যের ভোটে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে। জয়ের হাসি হাসতে পারে প্রস্তাবের পক্ষে বা বিপক্ষের দল। কেননা, ‘বিদ্রোহী’ সদস্য ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান ও বিরোধী ডেমোক্রেট- দুই দলেই রয়েছে।

ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব বিষয়ে কংগ্রেসের জুডিশিয়ারি কমিটির চেয়ারম্যান জেরোল্ড ন্যাডলার সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের সবাইকে এ বিষয়ে পরিষ্কার হতে হবে যে কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। এমনকী, রাষ্ট্রপতিও নন।”

Comments

The Daily Star  | English

10 ministries brace for budget cuts

The railway ministry, the power division, and the primary and mass education ministry will see the biggest chop.

10h ago