নির্বিচার হত্যা-অগ্নিসংযোগের কথা অস্বীকার করেনি মিয়ানমার: যুক্তি গাম্বিয়ার

গাম্বিয়ার এজেন্ট শুরুতেই রোহিঙ্গা নির্যাতনের ব্যাপারে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের সাতটি মূল বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, গতকাল মিয়ানমারের এজেন্ট এগুলো অস্বীকার করেননি।

নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আজ (১২ ডিসেম্বর) তৃতীয় ও শেষ দিনে যুক্তি দিচ্ছেন গাম্বিয়া এবং মিয়ানমারের এজেন্টরা।

বিকাল ৩টায় শুরু হওয়া শুনানির প্রথমে রোহিঙ্গা গণহত্যার সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করে গাম্বিয়া।

গাম্বিয়ার এজেন্ট শুরুতেই রোহিঙ্গা নির্যাতনের ব্যাপারে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের সাতটি মূল বক্তব্য তুলে ধরে বলেন, গতকাল মিয়ানমারের এজেন্ট এগুলো অস্বীকার করেননি। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ৩৯২টি গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মিয়ানমার তা অস্বীকার করেনি। তারা নিজেরাই বলেছে, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা এই হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত ও তাদের বিচার হচ্ছে। কিন্তু মিয়ানমারের ২০০৮ সালের সংবিধান অনুযায়ী সেনাবাহিনীর কারও অপরাধের বিচার করার এখতিয়ার কেবলমাত্র সামরিক আদালতেরই রয়েছে। আর সেনাবাহিনী যে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিচার করবে না সেটি প্রমাণ হয় সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের বক্তব্যে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগে তার পেজ বন্ধ করার আগে তিনি সেখানে বলেছিলেন, বাংলাদেশিদের সমস্যা নিয়ে তারা লড়ছেন। বর্ণবাদী বক্তব্য দিয়ে আরও বলেছেন, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা বলতে কোনো জনগোষ্ঠীর অস্তিত্ব নেই।

গাম্বিয়ার এজেন্ট বলেন, রোহিঙ্গাদের ওপর সমস্ত নির্যাতনের কথা প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়ে এখন মিয়ানমার বলতে চাইছে এর পেছনে গণহত্যার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না তাদের।

আজ দেড় ঘণ্টা বলার সুযোগ পাবে গাম্বিয়া এবং বিরতির পর রাত সাড়ে ৯টায় শুরু হয়ে দেড় ঘণ্টা বলবে মিয়ানমার।

উল্লেখ্য, গণহত্যার মামলার শুনানিতে মিয়ানমারের পক্ষে অংশ নিতে নেদারল্যান্ডসে অবস্থান করছেন দেশটির অং সান সু চি। আর গাম্বিয়ার পক্ষে মামলায় অংশ নিচ্ছেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইনমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবাদু।

আরও পড়ুন:

‘সশস্ত্র সংঘাতের কথা বলে কখনই গণহত্যার সাফাই গাওয়া যায় না’

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago