উত্তপ্ত ভারত, জাপানের প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরও বাতিলের সম্ভাবনা

Assam violence
নতুন ‘নাগরিকত্ব আইন’র বিরোধিতা করে রাজপথে সহিংস প্রতিবাদ করছেন ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যের অধিবাসীরা। ছবি: সংগৃহীত

নতুন ‘নাগরিকত্ব আইন’ নিয়ে ভারতজুড়ে বিশেষ করে দেশটির উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলোতে সহিংস বিক্ষোভের কারণে দিল্লি সফর বাতিল করার কথা ভাবছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। তার আসাম রাজ্যের রাজধানী গোয়াহাটি সফর করার কথা রয়েছে।

আবের ভারত আসার কথা রয়েছে আগামী ১৫ ডিসেম্বর।

জাপানের জিজি প্রেসের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, গোয়াহাটিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও আবের সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক হওয়ার কথা। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতা করে আসাম অগ্নিগর্ভ হওয়ায় আবে ভারত সফর বাতিলের কথা ভাবছেন।

নতুন দিল্লিতে সাপ্তাহিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভিশ কুমার বলেন, “আমাদের হাতে নতুন কোনো তথ্য নেই।”

আজ (১৩ ডিসেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, গত দুই দিনে আসামসহ উত্তরপূর্ব রাজ্যগুলোতে সহিংস আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন লাখ লাখ বিক্ষোভকারী।

কার্ফু, সেনা-টহল, প্রধানমন্ত্রী মোদির টুইট-অনুরোধ উপেক্ষা করে আসামের রাস্তায় নামছেন প্রতিবাদকারীরা। এ পর্যন্ত সেখানে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

এছাড়াও, ‘নাগরিকত্ব আইন’র প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে আসামের প্রতিবেশী রাজ্য মেঘালয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের কিছু অংশে অনির্দিষ্টকালের জন্যে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

সেসব এলাকার মোবাইল ইন্টারনেট এবং এসএমএস সেবা বন্ধ রয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যম জানায়, একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে।

গতকাল অসমিয়া ও ইংরেজিতে টুইট করেন মোদি লিখেন, ‘‘আমার আসামের বোন ও ভাইদের আশ্বস্ত করে বলতে চাই যে, সিএবি (নাগরিকত্ব) বিল নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। কেউ আপনাদের অধিকার, পরিচয় বা সংস্কৃতি কেড়ে নিতে পারবে না।”

পাল্টা টুইট করে কটাক্ষ করে কংগ্রেস। লিখে, “আসামের ভাই-বোনেরা আপনার টুইট পড়তে পারবেন না মোদিজী। যদি আপনি ভুলে যান (তা হলে মনে করিয়ে দিই), সেখানে ইন্টারনেট বন্ধ।”

Comments

The Daily Star  | English

Israel will take all of Gaza: PM

Strikes kill 52 more; WHO chief says 2 million 'starving'

7h ago