ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে হামলা হয়েছে। এসময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলাসহ চেয়ার ভাঙচুর করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

আজ (১৬ ডিসেম্বর) সকাল নয়টার দিকে জেলা পরিষদ চত্বরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল আলম এ হামলার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের অনুসারীদেরকে দায়ী করেছেন।

তিনি জানান, ২০১৭ সালের একই দিনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার ওপর হামলা করেছিলো।

শফিকুল আলম বলেন, “আজ বেলা ১১টায় আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার আয়োজন করে জেলা পরিষদ। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই সকাল নয়টার দিকে অনুষ্ঠানস্থলে এসে হামলা চালায় একদল যুবক। হামলাকারীরা অনুষ্ঠান মঞ্চ এবং আগতদের বসার চেয়ার ভাঙচুর করে। এছাড়াও, তারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে।”

Brahmanbaria_Bijoy-Dibosh-1.jpg
হামলার প্রতিবাদে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা বিক্ষোভ করেন। ছবি: স্টার

এ ঘটনার পর সেখানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা এ হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন। এসময় শফিকুল আলম বলেন, “যারা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছিঁড়ে ফেলে, তারা প্রকৃত রাজাকার। আমরা এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেবো।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান বলেন, “আমরা সেসময় জেলা প্রশাসন আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ছিলাম। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।”

ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এসপি।

এর আগে, ২০১৭ সালের ১৬ ডিসেম্বর শহরের ফারুকী পার্কের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় তৎকালীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের এক শীর্ষ নেতা ও তার অনুসারীরা শফিকুল আলমকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। হামলাকারীরা সেসময় শফিকুলের কর্মী-সমর্থকদেরও মারধর করে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের পাঁচ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিলো।

Comments

The Daily Star  | English

New polls timing: BNP upbeat, process irks Jamaat, NCP

The interim government’s revised election timeline with certain conditions has stirred cautious optimism as well as raised questions among  political parties.

9h ago