মুশফিককে রাজশাহীর ইংলিশ কোচের টুপি খোলা অভিনন্দন

শোয়েব মালিকের ক্যামিও ইনিংসে আগে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়ে ৪ উইকেটে ১৮৯ রানের বিশাল সংগ্রহই পেল রাজশাহী রয়্যালস। ২০ ওভারের ম্যাচে স্কোরটা মোটেও কম নয়। কিন্তু সে লক্ষ্য তাড়ায় তেমন কোনো বেগই পেতে হয়নি খুলনা টাইগার্সের। কারণ অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। আর এমন ইনিংস দেখার পর প্রতিপক্ষ কোচ হয়েও প্রশংসা করতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি ওয়াইজ শাহ। মুশফিককে টুপি খোলা অভিনন্দন জানিয়েছেন এ ইংলিশ কোচ।
mushfiq
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

শোয়েব মালিকের ক্যামিও ইনিংসে আগে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়ে ৪ উইকেটে ১৮৯ রানের বিশাল সংগ্রহই পেল রাজশাহী রয়্যালস। ২০ ওভারের ম্যাচে স্কোরটা মোটেও কম নয়। কিন্তু সে লক্ষ্য তাড়ায় তেমন কোনো বেগই পেতে হয়নি খুলনা টাইগার্সের। কারণ অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। আর এমন ইনিংস দেখার পর প্রতিপক্ষ কোচ হয়েও প্রশংসা করতে বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি ওয়াইজ শাহ। মুশফিককে টুপি খোলা অভিনন্দন জানিয়েছেন এ ইংলিশ কোচ।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মুশফিক যখন মাঠে নামেন তখন দুই ওপেনার বিদায় নিয়েছেন দলীয় ২৫ রানে। তাতে কিছুটা চাপে দল। এরপর দলের ইনিংস মেরামত করেন রাইলি রুশোকে নিয়ে। ৭২ রানের জুটি গড়েন। নিয়মিতভাবে রানের গতিও রেখেছেন সচল। পরে রুশো বিদায় নিলে শামসুর রহমান শুভকে নিয়ে ৬১ রানের আরও জুটি গড়ে দলের জয়ের পথটা গড়ে দেন। এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। শেষ মুহূর্তে আউট হওয়ার আগে ৯৬ রানের দানবীয় এক ইনিংস খেলেন। মাত্র ৫১টি বলের ইনিংসটি সাজান ৯টি চার ও ৪টি ছক্কায়।

তবে শুধু পরিসংখ্যানে মুশফিককে বিচার করলে হবে না এদিন। কারণ পুরো ইনিংসে ভুল বলতে ওই শেষ শট। যেটাও করেছেন সেঞ্চুরি করতে গিয়ে। কারণ সেঞ্চুরির জন্য চার রান দরকার হলেও জয়ের জন্য তখন দরকার ছিল দুই রানের। বাউন্ডারির কোনো বিকল্পই ছিল না। যেমন গাণিতিক ক্রিকেট খেলেছেন নিখুঁত শটে। তেমনি ইম্প্রোভাইজিং স্ট্রোকও ছিল নজর কাড়া। ভয়ডরহীন মানসিকতা ও আগ্রাসনের সঙ্গে টেম্পারমেন্টের নিখুঁত কম্বিনেশনে আসে তার অতিমানবীয় ইনিংস। এমন ইনিংসে প্রশংসা কুড়িয়েছেন সবার।

ম্যাচ শেষে তাই সংবাদ সম্মেলনে উচ্ছ্বসিত প্রশংসাই করলেন ওয়াইজ শাহ, '১৫/২০ রান কম করেছি হয়তো। ২০০/২১০ হলে আদর্শ হতো। যাই হোক, আমার মতে মুশফিক অবিশ্বাস্য রকমের ভালো ব্যাট করছে। অসাধারণ ইনিংস, দারুণ গতিময়। কখনো প্যানিক হয়নি। ইনিংস কিভাবে গড়তে হয় দেখিয়েছে। জুটি গড়েছে। পার্টনার রাইলি রুশোকে হারানোর পরও সে নিজে চালিয়ে গেছে। কখনো কখনো প্রতিপক্ষকে টুপি খোলা অভিনন্দন জানাতে হয়।'

তবে শুধু এদিনই নয়, বাংলাদেশের সবচেয়ে পরিপূর্ণ খেলোয়াড়ের তালিকা করলে সবার উপরেই থাকে মুশফিকের নাম। দিনে দিনে আধুনিক ক্রিকেটের সেরাদের একজন হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলছেন। দেশের তো বটেই প্রজন্মের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানও তিনি। পেস ও স্পিন দুই ধরণের বলের বিপক্ষে সমান স্বচ্ছন্দ। প্রায় সব ধরণের শটই খেলতে পারেন। সবচেয়ে বড় কথা, অবিশ্বাস্য দক্ষতায় যে কোন বলকে যে কোন জায়গায় পাঠিয়ে দিতে সক্ষম এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago