হেরে বিপিএল জমিয়ে দিলাম: মুশফিক

টানা চারটি হার সিলেট থান্ডারের। অন্যদিকে খুলনা টাইগার্সের টানা তিনটি জয়। মনে হচ্ছিল যেন এবারের বিপিএল প্রায় একপেশে হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় সিলেট। উড়তে থাকা খুলনাকে মাটিতে নামিয়ে এনে ৮০ রানের বিশাল জয় পায় দলটি। এমন হারের পর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে হাসির ছলে মুশফিক জানালেন, হেরে টুর্নামেন্ট জমিয়ে দিলেন তারা।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টানা চারটি হার সিলেট থান্ডারের। অন্যদিকে খুলনা টাইগার্সের টানা তিনটি জয়। মনে হচ্ছিল যেন এবারের বিপিএল প্রায় একপেশে হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় সিলেট। উড়তে থাকা খুলনাকে মাটিতে নামিয়ে এনে ৮০ রানের বিশাল জয় পায় দলটি। এমন হারের পর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে হাসির ছলে মুশফিক জানালেন, হেরে টুর্নামেন্ট জমিয়ে দিলেন তারা।

বাস্তবিক অর্থেও তাই। এ ম্যাচে হেরে গেলে এক প্রকার টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিতে হতো সিলেটকে। বাকী সব ম্যাচই তখন তাদের জন্য হতো ফাইনালের মতো। শনিবার খুলনাকে হারিয়ে আসরে ভালোভাবেই টিকে রইল দলটি।  হারের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে মুশফিক হাসতে হাসতে বললেন, 'না। খেলাটা জমিয়ে দিল আরকি। আজকে যদি রংপুরও জিতে তাহলে আরও জমে যাবে। আমি ওইখানেও (ড্রেসিং রুমে) বলছিলাম যে, খেলাটা আমরা আবার জমিয়ে দিলাম।'

তবে মজা করার কিচ্ছুক্ষণ পরই সিরিয়াস হয়ে যান মুশফিক। হারের ব্যাখ্যাটা দিলে এভাবেই, 'দেখেন টি-টোয়েন্টি সংস্করণের খেলা এটা। বরং যারা হারতে থাকে, ওদের হারানোর কিছু থাকে না। আজকে যারা ব্যাটিং করেছে ওরাও জানে সেটা। যে এখানে ১৩০-৪০ এ কিছু হবে না। আমরা যা পারি মারতে থাকি, রান তুলতে থাকি। তো এদের চিন্তা এমন। অন্য দল দলে চিন্তা করত যে ১৭০ করব বা ১৮০ করব। ওদের এমন চিন্তা ছিল যে, যত বেশি পারা যায়। তো এমন দল অনেক বিপদজনক। টি-টুয়েন্টিতে এক- দুই জন ব্যাটসম্যান লাগে যেকোনো দলকে হারানোর জন্য।'

প্রতিপক্ষকে কৃতিত্ব দিয়ে মুশফিক আরও বললেন, 'তারা আজ ভালো খেলেছে। বোলিং বিভাগও যদি তাদের দেখেন। প্রায় পাঁচটার মতো পরিবর্তন করেছে। এটাও একটা ভালো কম্বিনেশন। আরও যারা খেলোয়াড় আছে, ওদের তারা (সতীর্থরা) দেখেনি বা খেলেনি। এটাও একটা কারণ হতে পারে। আর আমরাও আজকে সব দিক দিয়ে খুব একটা ভালো খেলিনি।'

'যেভাবে ওরা ব্যাটিং করেছে সেটা আসলেই দারুণ। আমাদের বোলাররা চেষ্টা করেছে। এরকম খেলতে থাকলে বোলারদের খুব বেশি কিছু করার থাকে না। এতো ভালো ব্যাটিং করে আমরা ১৯০ রান অতিক্রম করেছিলাম। বোলাররা খারাপ বোলিং করেনি। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে এটা কঠিন। ১৭০-৮০ হয়তো আমরা অতিক্রম করতে পারতাম। ২৩২ একটু বেশি হয়ে গেছে। আমরা ওদের ২০০ বা ২১০ এর মধ্যে আটকাতে চেয়েছিলাম। তাহলে অন্যরকম খেলা হতো। প্রথম ৬ ওভার খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা সেখানে ভালো কিছু করতে পারিনি। প্রথম ৬ ওভারে ৭০ রান হলে ভালো কিছু করা যেতো। - হারে ব্যাখ্যায় যোগ করে এমনটাই বললেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

Comments

The Daily Star  | English

The case of disgruntled DC aspirants

Restoring law and order hinges on the effectiveness of field administration where the DCs play a crucial role as the highest-ranking officials at the district level.

3h ago