ঢাবিতে ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের হামলায় নুরসহ আহত ১৫

আবারও হামলার শিকার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর।
DUCSU clash-1.jpg
২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীদের হামলায় ভিপি নুরুল হক নুরসহ বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্তত ১৫ নেতা-কর্মী আহত হন। ছবি: প্রবীর দাশ

আবারও হামলার শিকার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর।

হামলায় নুর ছাড়াও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের অন্তত ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে সংগঠনটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

আজ (২২ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাবির ডাকসু ভবনে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীরা এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সাদ্দাম হোসেন এবং মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল এবং মঞ্চের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপসম্পাদক আল মামুনের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়।

আমাদের ঢাবি সংবাদদাতা জানিয়েছেন, রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম আসার প্রতিবাদে আজ ডাকসু ভবনের সামনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কুশপুত্তলিকা পোড়াতে চেয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের আহ্বায়ক ও ঢাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন। কিন্তু তার আগেই আমিনুল ও মামুনের নেতৃত্বে রড, ইট, বাঁশ ও লাঠিসোটা নিয়ে সেখানে অবস্থান নেন তাদের অনুসারীরা।

২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীদের হামলায় আহত ভিপি নুরুল হক নুর। ছবি: প্রবীর দাশ

জানা গেছে, আমিনুল ও মামুনের নেতৃত্বাধীন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। ফলে তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো কর্মসূচী প্রতিহতের ঘোষণা দেন।

এমন পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো কর্মসূচী স্থগিত করেন অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন।

ওই সময় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ডাকসু ভবনে অবস্থান করছিলেন নুর। এর কিছুক্ষণ পর সনজিত চন্দ্র দাস এবং সাদ্দাম হোসেন ডাকসু ভবনে প্রবেশ করে বহিরাগতদের নিয়ে নুরকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন।

এসময় তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে, সনজিত নুরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন এবং সাদ্দাম নুরকে পাঁচ মিনিটের আল্টিমেটাম দিয়ে ডাকসু ভবন থেকে বেরিয়ে যান।

এরপর সেখানে উপস্থিত ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীরা ডাকসু ভবনে ঢুকে নুরসহ তার সহযোগীদের রড, ইট, বাঁশ ও লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করেন। এসময় নুরসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago