করাচিতে পাকিস্তানের জয় এখন সময়ের ব্যাপার

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বীরত্বে আগের দিনই মিলেছিল এমন আভাস। শান মাসুদ, আবিদ আলির পর এদিন সেঞ্চুরি করেছেন আজহার আলি আর বাবর আজমও। চার সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড়ে চড়া পাকিস্তান শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংসে প্রায় ধসিয়ে অপেক্ষায় বড় জয়ের।

করাচি টেস্টের চারদিন শেষে ম্যাচের ফল অনেকটাই নিশ্চিত। ৪৭৬ রানের রেকর্ড রান তাড়ায় নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। শেষ দিনে পাকিস্তানের জিততে তাই আর দরকার ৩ উইকেট।

২ উইকেটে ৩৯৬ রান নিয়ে দিন শুরুর করা পাকিস্তান দিনের আলো বাড়ার সঙ্গে বাড়ায় ব্যাটিংয়ের জৌলুস। অধিনায়ক আজহার আগের দিনই ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন। এদিন ১৪২ বলে পৌঁছান ষোড়শ সেঞ্চুরিতে। পরে ১৫৭ বলে ১৩ চারে ১১৮ রান করে ফেরেন তিনি। এতে বাবরের সঙ্গে ভাঙে তার ১৪৮ রানের জুটি।

বাবর পরে ১৩১ বলে স্পর্শ করেন তিন অঙ্কের ঘর। এতে দারুণ এক কীর্তি গড়ে পাকিস্তান। টেস্ট ক্রিকেটের দ্বিতীয় কোন দল হিসেবে এক ইনিংসে পায় চার সেঞ্চুরির দেখা। এর আগে ২০০৭ সালে মিরপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছিলেন ওয়াসিম জাফর, দীনেশ কার্তিক, রাহুল দ্রাবিড় ও শচিন টেন্ডুলকার।

বাবর সেঞ্চুরি পুরো হয়ে গেলেই ৫৫৫ রানের আসে ইনিংস ঘোষণা।

বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে লঙ্কানরা নেমেই হয়ে যায় দিশেহারা। একশো রানের আগেই তারা হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। ওপেনার ওসাদা ফার্নেন্দো অবশ্য ধসের মাঝেই দেখান দৃঢ়তা। এক প্রান্তে টিকে দিনশেষেও সেঞ্চুরি তুলে অপরাজিত আছেন তিনি। তাকে কিছুটা সঙ্গ দিয়ে স্কোরকার্ড ভদ্রস্থ রাখেন নিরোশান ডিকভেলা।

পাকিস্তানের হয়ে একপ্রেস পেসার নাসিম শাহ নিয়েছেন ৩ উইকেট। শাহিদ আফ্রিদি, মোহাম্মদ আব্বাস, ইয়াসির শাহ আর হারিস সোহেল প্রত্যেকে নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ১৯১
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ২৭১
পাকিস্তান ২য় ইনিংস: ১৩১ ওভারে ৫৫৫/৩ ইনিংস ঘোষণা (আগের দিন ৩৯৫/২) (আজহার ১১৮, বাবর ১০০*, রিজওয়ান ২১*; বিশ্ব ০/১০৫, কুমারা ২/১৩৯, এম্বুলদেনিয়া ১/১৯৩, দিলরুয়ান ০/৯৪, ধনাঞ্জয়া ০/১৯)।
 শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ৬০.১ ওভারে ২১২/৭ (লক্ষ্য ৪৭৬) (করুনারত্নে ১৬, ফার্নান্দো ১০২*, কুসল ০, ম্যাথিউস ১৯, চান্দিমাল ২, ধনাঞ্জয়া ০, ডিকভেলা ৬৫, দিলরুয়ান ৫; শাহিন ১৪-৩-৫১-১, আব্বাস ১/৩৩, নাসিম ৩/৩১, ইয়াসির ১/৮৪, হারিস ১/১০)

Comments