নাসিমের গোলায় জেতার আনুষ্ঠানিকতা সারতে ১৬ বল লাগল পাকিস্তানের
আগের দিনই জেতার মঞ্চ তৈরি করে রেখেছিল পাকিস্তান। লঙ্কানদের শেষ ৩ উইকেট ফেলে দিয়ে বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা সারার। তা সারতে কোন রান নয়, সকাল বেলা কেবল ১৬ বল খরচ হয়েছে তাদের। গতিময় পেসার নাসিম শাহ ওই তিন উইকেটের দুটিই তুলেছেন, ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
করাচি টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে ২৬৩ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। রাওয়ালপিন্ডিতে বৃষ্টি বাধায় টেস্ট ড্র হওয়ার পর দুই ম্যাচ সিরিজ পাকিস্তান জিতল ১-০ ব্যবধানে। দশ বছর পর নিজ দেশে টেস্ট ফেরার উপলক্ষও হলো রঙিন।
আগের দিন নাসিম শাহর বলে দিলরুয়ান পেরেরা আউট হওয়ার পরই শেষ হয়ে যায় দিনের খেলা। নাসিম অসমাপ্ত ওভার করতে এসে প্রথম বলেই টুকে দেন শরীর তাক করা বাউন্সার। গতি আর বাউন্স সামলাতে না পেরে টেল এন্ডার লাসিথ এম্বুলদেনিয়া ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।
পরের ওভারে লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ সেঞ্চুরিয়ান ওসাদা ফার্নেন্দোকে ফিরিয়ে দিলে খেলা দ্রুতই শেষ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। পরের ওভারেই কাজ সেরে ফেলেন নাসিম। পঞ্চম বলে বিশ্ব ফার্নেন্দো নাসিমের বলে হোন এলবিডব্লিও।
প্রথম ইনিংসে উইকেট না পাওয়া ১৬ বছরের নাসিম দ্বিতীয় ইনিংস পান ৩১ রানে ৫ উইকেট। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তান মাত্র ১৯১ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর ২৭১ রান করে ৮০ রানের লিড নিয়ে ফেলেছিল শ্রীলঙ্কা।
কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসেই তৈরি হয় ঘুরে দাঁড়ানোর আসল গল্প। শান মাসুদ, আবিদ আলি, আজহার আলি আর বাবর আযমের চার সেঞ্চুরিতে রানের পাহাড়ে চড়ে স্বাগতিকরা। লঙ্কানদের বড় লক্ষ্য দিয়ে আগ্রাসী বোলিংয়ে বের করে নেয় ম্যাচ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান প্রথম ইনিংস: ১৯১
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ২৭১
পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস: ৫৫৫/৩ (ডিক্লে)
শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ইনিংস: ২১২ (করুনারত্নে ১৬, ফার্নান্দো ১০২, কুসল ০, ম্যাথিউস ১৯, চান্দিমাল ২, ধনাঞ্জয়া ০, ডিকভেলা ৬৫, দিলরুয়ান ৫, এম্বুলদেনিয়া ০, বিশ্ব ০, কুমারা ০*; শাহিন ১৪-৩-৫১-১, আব্বাস ১/৩৩, নাসিম ৫/৩১, ইয়াসির ২/৮৪, হারিস ১/১০)
ফল: পাকিস্তান ২৬৩ রানে জয়ী।
সিরিজ: পাকিস্তান ১-০ ব্যবধানে জয়ী।
Comments