হয়েও হলো না মুজিবের হ্যাটট্রিক

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ভাগ্যটাকে দুষতেই পারেন মুজিব উর রহমান। শহীদ আফ্রিদির উইকেটটা প্রায় পেয়ে গিয়েছিলেন। আম্পায়ার আউট দিয়েছিলেন। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। তাতে হ্যাটট্রিক বঞ্চিত তো হনই। ম্যাচটাই যে ফসকে যায় কুমিল্লার। কারণ এই আফ্রিদিই যে শেষ দিকে ঢাকা প্লাটুনের জয়ের নায়ক। ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিকের স্বাদটা পেয়েও পেলেন না এ আফগান তারকা।

মুজিবের করা ১৮তম ওভারের প্রথম বলে স্লগ করতে চেয়েছিলেন আফ্রিদি। ব্যাটে বলে হয়নি। লেগ স্টাম্পে রাখা বল লাগে তার প্যাডে। আম্পায়ার আউট দিলেও নন-স্ট্রাইকে থাকা মুমিনুলের সঙ্গে আলোচনা করে ডিএআরএসের সাহায্য নেন আফ্রিদি। রিভিউতে দেখা যায় বল লেগ স্টাম্প মিস করছিল। ফলে বেঁচে যান এ পাকিস্তানি খেলোয়াড়।

এর আগে দশম ওভারে বল করেছিলেন মুজিব। ওই ওভারের শেষ দুই বলে আউট করেছিলেন আসিফ আলী ও জাকের আলীকে। আসিফকে বোল্ড করে দেওয়ার পর জাকেরকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগান। ১৮তম ওভারে ফিরে প্রথম বলে উইকেট পেয়েও পেলেন না মুজিব।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অবশ্য ভাগ্যের বেশ খেলা চলছে সোমবার। নিজেদের ইনিংসে রাজাপাকসে আউট হয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরে গেলেও পরে তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ফের মাঠে ফিরেন। সেই রাজাপাকসেই খেলেন ৯৬ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। কারণ এদিন রাতারাতিই যে বদলে গিয়েছিল  চট্টগ্রামের উইকেট। স্লো উইকেটে তার ব্যাটেই লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছিল দলটি। অথচ এখন পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচেই ছিল ট্রু উইকেটে খেলা। সে সুযোগে ব্যাটসম্যানরাও রান বন্যায় ভাসাচ্ছিলেন।

অন্যদিকে জীবন পেয়ে আফ্রিদি ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেন। শেষ পর্যন্ত ১৬ বলে খেলেন ২৬ রানের ইনিংস। সেই ঘটনার সময় শেষ তিন ওভারে ২৫ রানের দরকার ছিল। উইকেট তারা হারিয়েছিল ৫টি। আফ্রিদির পর পুরোদুস্তর কোনো ব্যাটসম্যান ছিলেন না। সেক্ষেত্রে চাপে পড়ে যেতে পারতো দলটি। হয়তো ম্যাচের ফলাফলও হতে পারতো ভিন্ন।

Comments

The Daily Star  | English

'We know how to fight through adversity': Women footballers eye world stage

Captain Afeida Khandakar, her voice steady with emotion, said: “This is a moment we will never forget."

2h ago