এতো ছক্কা আগে কখনোই মারেননি মেহেদী
পুরোদুস্তর ব্যাটসম্যান হলেও বিপিএলে তার পরিচয় একজন বোলার হিসেবে। বরাবরই শেষ দিকে ব্যাটিং করেন। এদিন তিন নম্বরে নেমে রীতিমতো ঝড় তুললেন এ তরুণ। সাত সাতটি ছক্কা মেরেছেন। এতো ছক্কা মেরেছেন মনেই করতে পারলেন না তিনি। সাফ জানিয়ে দিলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এতো ছক্কা তিনি কখনোই মারেননি।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সোমবার ৫৯ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন মেহেদী। মাত্র ২৯ বলে খেলেন এ ইনিংস। চার মেরেছেন ২টি। কিন্তু ছক্কা মারেন ৭টি। রবিউল ইসলাম রবির করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারে তো মারেন টানা চারটি। লিকলিকে শরীরের এ ব্যাটসম্যান যে এতো বারুদ জ্বালাতে পারেন তা ভাবেনওনি অনেকে। সংবাদ সম্মেলনে স্বাভাবিকভাবে জিজ্ঞাসা করা হয় এতো ছক্কা শেষ কবে মেরেছেন।
মেহেদীর সরল উত্তর, 'এর আগে টি-টোয়েন্টিতে এতোগুলো ছক্কা কখনোই মারিনি।'
ঘরোয়া ক্রিকেটে টপ অর্ডারে ব্যাটিং করে থাকেন মেহেদী। ওয়ানডে কিংবা চার দিনের ম্যাচ, কিছুটা আগ্রাসী ব্যাট করতেই পছন্দ করেন তিনি। এমন বিধ্বংসী ইনিংসের পর জানালেন, 'জন্মের পর থেকেই আমি এভাবেই খেলি। ঘরোয়ায় যদি দেখেন, ফার্স্ট ক্লাস দেখেন আমি পিটাইতে পারি।'
তবে বিপিএলে কেন হয়নি এর আগে। ব্যাখ্যায় মেহেদী বললেন, 'বিপিএল একটু ভিন্ন জায়গা, সুযোগটা ওভাবে পাই না সত্যি বলতে। আপনি দেখবেন আমার ইনিংসগুলো, সবসময় আমি একই জায়গায় ব্যাট করতে পারি না। কখনো দশ নম্বর, কখনো নয় নম্বর। শেষের দিকে আমার জন্য কঠিন, ওই সময় ভালো বোলার থাকে, ইয়র্কার করে, বাউন্সার মারে। আমার জন্য কঠিন হয়ে যায়। নতুন বলের জন্য আমি ঠিক আছি। পাওয়ার প্লে কাজে লাগাতে পারি। কোচেরও সেই পরিকল্পনাটা ছিল।'
ভবিষ্যতে এমন আরও ইনিংস খেলার প্রত্যয় প্রকাশ করেন মেহেদী। তবে নিজের জন্য স্থায়ী একটি জায়গা চান এ তরুণ, 'আমার ব্যাটিংয়ে নামার পজিশন স্থায়ী হলে আমার জন্য লক্ষ্য তৈরি করতে ভালো হতো। কিন্তু ১০ নম্বর, নয় নম্বর হলে মানসিকভাবে নিচু থাকি। তবে এটাকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিচ্ছি যে, এখানে সফল হতে পারলে আমার জন্য ভালো।'
Comments