দলের উপরই ভরসা পাচ্ছেন না মিঠুন

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

টানা চার হারের পর খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে দারুণ এক জয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল সিলেট থান্ডার। কিন্তু এক ম্যাচ যেতেই সেই পুরনো হাল। মঙ্গলবার ঢাকা প্লাটুনের কাছে পাত্তাই পায়নি দলটি। রীতিমতো খাঁদের কিনারায় চলে গিয়েছে দলটি। আর তার একটা কারণ ব্যাখ্যা করেছেন দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন। বিপিএলের অর্ধেক চলে গেলেও এখনও সঠিক কম্বিনেশনই খুঁজে পায়নি বলে মনে করেন তিনি।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এদিন ঢাকার কাছে আট উইকেটের বড় ব্যবধানেই হারে সিলেট। এ হারে ৬ ম্যাচে মাত্র ২ পয়েন্ট তাদের। নকআউট পর্বের আশা টিকিয়ে রাখতে হলে বাকী সব ম্যাচেই এক অর্থে জয় চাই তাদের। এমন পরিস্থিতিতে কাজটা বেশ কঠিন। মিঠুনের ভাষায়, 'আমরা এখনো সঠিক কম্বিনেশনটা খুঁজছি, দলটা কীভাবে আরেকটু শক্তিশালী হতে পারে। কারণ আমাদের টপ অর্ডার ব্যর্থ হলে ওইদিন আর কিছুই নেই আমাদের। টিম ম্যানেজমেন্ট এটা নিয়ে কাজ করছে, আমরাও চেষ্টা করছি যাতে ঘুরে দাঁড়ানো যায়।'

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীকে লক্ষ্য রেখে আয়োজিত এ বিপিএলে খুব একটা শক্তিশালী দল গড়তে পারেনি সিলেট। রিজার্ভ বেঞ্চও স্বল্প। তাই খুব একটা যাচাই বাছাই করার সুযোগও নেই মিঠুনদের, 'আমাদের দলটা যদি দেখেন, বাইরে কিন্তু খুব বেশি অপশন নেই আমাদের যে, কাউকে পরিবর্তন করে কাউকে সুযোগ দেবে। কারণ আমাদের দলটাই ওভাবে করা, হাতে গোনা কিছু খেলোয়াড় নিয়ে গড়া। আমাদের রিজার্ভ বেঞ্চ অত শক্তিশালী না যে, এই লেভেলে এখনো কিছু করেনি তাকে দিয়ে রান করাবে।'

সবমিলিয়ে তাই বেশ হতাশ মিঠুন, 'বলার আসলে কিছু নেই। ফলাফল সব সময় পক্ষে থাকে না। তারপরও প্রক্রিয়াটা যেভাবে হওয়া উচিত ছিল, আমার মনে হয় না আমরা সঠিক প্রক্রিয়ায় রান করেছি। দিন শেষে আমরা প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ই কিন্তু দলকে জেতানোর জন্য খেলি। দল যখন জেতে না, সেটা খুবই হতাশার।'

আর এমন হতাশার ব্যাখ্যা দিয়ে মিঠুন বললেন, 'এটা (হতাশ হওয়া) খুবই স্বাভাবিক। আপনি যদি ম্যাচ হারেন, আপনার যদি খারাপ না লাগে, আপনি যদি হতাশ না হন, আপনি কোনো খেলোয়াড় না। তাই না? খারাপ লাগবে আবার সেটাকে ওভারকাম করে পরের ম্যাচে নতুন উদ্যমে আসাটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু যখন খারাপ হবে তখন মানুষ হিসেবে খারাপ লাগা স্বাভাবিক।'

Comments

The Daily Star  | English

Nationwide combing operation launched to curb rising crime: home adviser

The adviser announced the decision after a meeting on law and order following a series of alarming incidents

33m ago