যেভাবে রান আউট হয়েও বেঁচে ফিরে ম্যাচ জেতান ইমরুল

মাশরাফি বিন মর্তুজা যখন ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন, ইমরুল কায়েস তখন সামনেই বসা। নিশ্চিত আউট থেকে খেলোয়াড়ি মনোভাব দেখিয়ে তাকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন। মাশরাফি মজা করেই বললেন ইমরুল তো পরে ধন্যবাদও দেয়নি। ওখানেই তাৎক্ষণিকভাবে ধন্যবাদ দিয়ে দেন ইমরুল। আসল ঘটনা ইনিংসের চতুর্থ ওভারে। যেখান থেকে সুযোগ পেয়ে পরে ইমরুল খেলেন ম্যাচ জেতানো ইনিংস।
চতুর্থ ওভারে মেহেদী হাসানের বলে রক্ষণাত্মক খেলে বল সামনে ঠেলে দিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। ফলো থ্রুর মোশনে তার শরীর চলে গিয়েছিল ক্রিজের বাইরে। পরে ক্রিজে না ঢুকেই বল ডেড হয়েছে ভেবে ব্যাট দিয়ে পিচ টুকতে থাকেন। এরমধ্যে ফিল্ডার মুমিনুল হক বল ধরে ভেঙে ফেলেছেন স্টাম্প। আম্পায়ারও তুলে ফেলেছিলেন আঙুল। নিয়ম অনুযায়ী আউটই হন ইমরুল। তখন ২ রানে থাকা ইমরুলকে এভাবে ফেরাতে চায়নি ঢাকা প্লাটুন। ম্যাচ শেষে সেটাই জানালেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
২ রানে জীবন পাওয়া ইমরুল পরে ৫৩ বলে করেন ৫৪ রান। ১২৫ রান তাড়ায় যা হয়ে উঠে সবচেয়ে দামি ইনিংস। ইমরুলের ব্যাটেই ৮ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জেতে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ম্যাচ হারার পর সংবাদ সম্মেলনে আসা ঢাকা প্লাটুন অধিনায়ক মাশরাফির কাছে অবধারিতভাবেই গেছে ইমরুলের রান আউট থেকে বেঁচে যাওয়া প্রসঙ্গ।
প্লাটুন অধিনায়ক মাশরাফি বললেন নিয়ম অনুযায়ী আউট পাওয়ার কথা জেনেও সে পথে যাননি তারা, ‘সত্যি কথা বলতে এটা ফিল্ডিং দল আউটটা নিতে পারে। ইমরুল শ্যুড লার্ন দ্য ম্যানারস, ও কিন্তু ধন্যবাদও বলেনি (হাসি)।’ মাশরাফির কথার মাঝেই তখন তাকে ধন্যবাদ জানান ইমরুল।
মাশরাফি জানান ক্রিকেটীয় নিয়ম অনুসরণ করলে ইমরুলকে তখনই ফেরাতে পারতেন তারা। কিন্তু সুন্দর দেখায় না বলে এমন আউট নিতে চাননি তারা, ‘কিন্তু ক্রিকেটিং পথে এগিয়ে গেলে থার্ড আম্পায়ার আউট দিতে পারত। আমার মনে হয় তামিম খেলছে, আমি খেলছি এরকম আউট নিব এটা ভালো দেখায় না।’
এবারের বিপিএলে ৮ ম্যাচে তিন ফিফটিতে ২৮৯ রান করে রান সংগ্রাহকের তালিকায় সেরা দুইয়ে আছেন ইমরুল। ইমরুলের এমন ছন্দও বেশ বাহবা পাচ্ছে মাশরাফির, ‘ইমরুল প্লেয়ার নিয়ে তো সন্দেহ নাই। ধারাবাহিকতা প্রথম থেকেই আছে। যেটা খুব ভালো। একটা ব্যাটসম্যান এ লেভেলেই থাকুক রান করলে আত্মবিশ্বাস থাকে। আজকে যেভাবে খেলেছে দায়িত্ব নিয়ে খেলেছে। আশা করি পরে বাংলাদেশ দলে সুযোগ পেলে এরকমই খেলবে।’
Comments