একরকম অবিক্রীতই থাকি, আমার কাছে আর আশা কী: মাশরাফি

অধিনায়ক হিসেবে বিপিএলে সর্বোচ্চ চারবার শিরোপা জিতেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। অন্য আর কোনো অধিনায়ক দুইবারও তা করতে পারেননি। ঘরোয়া আসরের সফল এই অধিনায়ককে দলে ভিড়িয়ে নেতৃত্বের ভার দিয়েছে ঢাকা প্লাটুনও। নিশ্চিতভাবেই আশা শিরোপার। কিন্তু এমন প্রত্যাশার প্রশ্নে কিছুটা যেন শ্লেষ মাশরাফির কন্ঠে।
Mashrafe Mortaza
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

অধিনায়ক হিসেবে বিপিএলে সর্বোচ্চ চারবার শিরোপা জিতেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। অন্য আর কোনো অধিনায়ক দুইবারও তা করতে পারেননি। ঘরোয়া আসরের সফল এই অধিনায়ককে দলে ভিড়িয়ে নেতৃত্বের ভার দিয়েছে ঢাকা প্লাটুনও। নিশ্চিতভাবেই আশা শিরোপার। কিন্তু এমন প্রত্যাশার প্রশ্নে কিছুটা যেন শ্লেষ মাশরাফির কন্ঠে।

এবার বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটে শুরুতে অবিক্রীত ছিলেন ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে থাকা মাশরাফি। অষ্টম ডাকে তাকে দলে নেয় ঢাকা। পরে অবধারিতভাবে হন সে দলের অধিনায়ক।

টুর্নামেন্টের আগে অভিজ্ঞতার বিচারে নামে-ভারে সবচেয়ে এগিয়ে রাখা হচ্ছিল ঢাকাকেই। কিন্তু টুর্নামেন্টে খুব একটা ধারাবাহিক নয় তারা। এখন পর্যন্ত সাত ম্যাচ খেলে চার জয় আর তিন হারে পয়েন্ট টেবিলের চারে আছে তারা।

দলের স্পন্সরদের দিক থেকে প্রত্যাশার চাপ কেমন, শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ম্যাচ হেরে আসার পর এমন প্রশ্নে অধিনায়কের জবাব হলো চেনা ছকের বাইরে, ‘আশা মানে, কী আর আমার কাছে...সবার কাছেই (আশা সমান)। আমি তো একরকম অবিক্রীতই থাকি (হাসি)। আমার কাছে আশা করেই বা কী! আশা করলে তো সবার আগেই বিক্রি হয়ে যাওয়ার কথা।’

পরেই সিরিয়াস হয়েই জানালেন, নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে এবারও আছেন সেরার দৌড়ে, ‘আসলে এটা ঠিক কি-না (প্রত্যাশা) মালিকরাই (স্পন্সর) বলতে পারবে। আসলে সব দলই সমান প্রত্যাশা নিয়ে খেলে। আমরাও এই প্রত্যাশা নিয়ে খেলছি। শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে যা দরকার সেটা করব। পয়েন্ট টেবিলে চারে আছি, দৌড় থেকে যে বাইরে আছি তেমন না।’

প্রায় পাঁচ মাস পর ফিরে মাশরাফির নিজের পারফরম্যান্সও খুব একটা নজরকাড়া নয়। আগের ছয় ম্যাচেই ম্যাচে প্রভাব তৈরি করতে পেরেছেন কম। সবমিলিয়ে সাত ম্যাচে চার উইকেট পেতে মাশরাফিকে রান দিতে হয়েছে ৮.০৯ ইকোনমিতে। আগের ছয় ম্যাচের চেয়ে এদিনই তাকে দেখা গেছে সবচেয়ে ভালো। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে চার ওভার বল করে ১৪ রান দিয়ে তিনি নেন এক উইকেট।

উঠা-নামার মধ্যে থাকা নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে এখনো উদ্বেগ নেই তার মনে, ‘আমি নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে অতটা চিন্তা করছি না। অনেক দিন পর মাঠে আসছি, চেষ্টা করছি। প্রায় পাঁচ মাস পর এসেছি। মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছি। কোনো ম্যাচে ভালো, কোনো ম্যাচে খারাপ হচ্ছে। উঠা-নামার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। চেষ্টা করছি সেরাটা দেওয়ার। কখনো হচ্ছে, হচ্ছে না এরকম।’

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago