ঢাবিতে ‘সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য’ নামে ১২ সংগঠনের নতুন জোট

Alliance-1.jpg
২৭ ডিসেম্বর ২০১৯, মধুর ক্যান্টিনে এই জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন। ছবি: স্টার

সন্ত্রাস-দখলদারিমুক্ত নিরাপদ গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠার জন্য ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ক্রিয়াশীল ১২টি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে ‘সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্য’ নামে একটি নতুন জোট আত্মপ্রকাশ করেছে।

আজ (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এই জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সমাজসেবা সম্পাদক ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা আখতার হোসেন।

জোটে থাকা সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন (গণসংহতি আন্দোলন), বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন (বদরুদ্দীন উমর), সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (বাসদ), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্কসবাদী), বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলন, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, নাগরিক ছাত্র ঐক্য, স্বতন্ত্র জোট ও ছাত্র গণমঞ্চ।

এসময় জোটের পক্ষ থেকে চার দফা দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো- গত ২২ ডিসেম্বর ডাকসু ভবনে ভিপি নুরুল হক নুরসহ সব শিক্ষার্থীর ওপর হামলাকারীদের স্থায়ী বহিষ্কার ও আইনানুগ বিচার, ‘ব্যর্থতার’ দায়ে প্রক্টরের অপসারণ, ভিপি নুরসহ আহতদের বিরুদ্ধে হওয়া ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার ও আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার প্রশাসনের বহন এবং ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, হলে হলে দখলদারি ও গেস্টরুম-গণ রুম নির্যাতন বন্ধ করা।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জোটের এক নেতা বলেন, “ঐতিহাসিক দখলদারির ইতিহাস থাকায় বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে সন্ত্রাসবিরোধী ছাত্র ঐক্যে নেওয়া হয়নি, হবেও না। আর বর্তমানে একটি ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধেই মূলত এই জোট গঠিত হওয়ায়, তাদের নেওয়ার বিষয়টি অসম্ভব।”

আগামীকাল বিকেল তিনটায় ঢাবির সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে সন্ত্রাসবিরোধী গণপদযাত্রা করা হবে বলে জানিয়েছেন জোটের নেতারা।

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

9h ago