শব্দের ২৭ গুণ বেশি গতির পারমাণবিক অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন রাশিয়ার

বেশ কয়েক বছর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অবশেষে নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে রাশিয়া। গতকাল (২৭ ডিসেম্বর) পারমাণবিক অস্ত্রবাহী ‘অ্যাভনগার্ড’ নামের এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ইউরাল পর্বতে স্থাপন করা হয়।

বেশ কয়েক বছর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অবশেষে নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে রাশিয়া। গতকাল (২৭ ডিসেম্বর) পারমাণবিক অস্ত্রবাহী ‘অ্যাভনগার্ড’ নামের এই হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ইউরাল পর্বতে স্থাপন করা হয়।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু।

শোইগু জানান, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায় এই প্রথম অ্যাভনগার্ড হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত করা হয়েছে। এটি শব্দের চেয়েও ২৭ গুণ বেশি গতিতে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম।

দেশটির শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “সেনাবাহিনী ও গোটা জাতির এই ঐতিহাসিক অর্জনের মুহূর্তে আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি।”

রুশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান জেনারেল সের্গেই করাকায়েভ জানান, অ্যাভনগার্ডকে দক্ষিণাঞ্চলীয় ইউরাল পর্বতমালার ওরেনবার্গ অঞ্চলে মোতায়েন করা হয়েছে। 

অ্যাভনগার্ডকে এমন প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে, যাতে তা হাইপারসনিক গতিতে বায়ুমণ্ডলের মধ্য দিয়ে দুই হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করে চলতে পারে।

এর আগে, ২০১৮ সালে মার্চে অ্যাভনগার্ড হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছিলেন পুতিন। সেসময় ১৯৫৭ সালে সোভিয়েত আমলে উৎক্ষেপিত প্রথম স্যাটেলাইটের মতো যুগান্তকারী প্রযুক্তিগত সফলতার সঙ্গে এর তুলনা করেছিলেন তিনি।

যদিও রাশিয়ার অ্যাভনগার্ড ও চীনের তৈরি অনুরূপ একটি যুদ্ধাস্ত্রের ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা নীতিমালা বিবেচনা করে দেখার দাবি জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।

এ ব্যাপারে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, গত মাসে মার্কিন প্রতিরক্ষা কমিটির একটি প্রতিনিধি দল অ্যাভনগার্ডকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন, নতুন পারমাণবিক অস্ত্র চুক্তির সব নীতিমালা মেনে চলা হয়েছে কী না, তারা সেটি যাচাই করে দেখেছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রাশিয়ার অ্যাভনগার্ড ও চীনের প্রায় একই ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা আকাশ পথে শক্তি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। নতুন এ প্রযুক্তির মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবেই সামরিক শক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে দেশ দুটি এগিয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Fashion brands face criticism for failure to protect labour rights in Bangladesh

Fashion brands, including H&M and Zara, are facing criticism over their lack of action to protect workers' basic rights in Bangladesh, according to Clean Clothes Campaign (CCC)..One year after a violent crackdown by state actors and employers against Bangladeshi garment workers protesting

Now