ম্যানেজমেন্টের সায় পেয়ে পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান মিরাজ
অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার, বোলিংটাই তার মূল কাজ। সঙ্গে বাড়তি হিসেবে যোগ হয় ব্যাটিং। তবে মেহেদী হাসান মিরাজকে এবার বিপিএলে পাওয়া যাচ্ছে ভিন্ন ভূমিকায়। এবার বোলিংটা পাচ্ছেন মাঝেমাঝে, কখনো পাচ্ছেনই না। কিন্তু ব্যাট করার সুযোগ পাচ্ছেন একদম ওপেনিংয়ে। তাতে আলো ছড়িয়ে দলও জেতালেন তিনি।
শনিবার সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে এক ওভারও বল করেননি মিরাজ। কিন্তু তবু তিনি ম্যাচ সেরা। কারণ ওপেন করতে নেমে দলকে জিতাতে খেলেছেন ৬২ বলে অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংস।
ম্যাচ শেষে অবশ্য জানালেন পরিস্থিতি অনুমোদন না করাতেই বোলিংটা করা লাগেনি তার, ‘আসলে বোলিং করার সুযোগ হয়নি। ওদের ডানহাতি ব্যাটসম্যান বেশি ছিল। উইকেট ওমন ছিল না। তার পাশাপাশি আমাদের বোলাররা যারা কেরছে তারা ভালো করেছে তাই আর পরিবর্তন হয়নি। তাই সুযোগ হয়নি।’
এমনিতে লোয়ার মিডল অর্ডারে ব্যাটিং পজিশন তার। ২০১৮ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে আচমকা তাকে ওপেন করতে পাঠিয়েছিলেন মাশরাফি মর্তুজা। তবে ওরকম ফাটকা মাঝেমাঝেই করা যায়। মিরাজকে নিয়মিত ওপেনার হিসেবে ভাবা কিছুটা চমক।
এবার বিপিএলে সব শেষ তিন ম্যাচ থেকে ওপেন করছেন মিরাজ। প্রথম সুযোগে দুই বল খেলেই শূন্য রানে আউট হন, পরের ম্যাচেও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তৃতীয় দফায় তবু তার উপর আস্থা রাখায় টিম ম্যানেজমেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা ঝরল মিরাজের কন্ঠে, ‘ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা টিম ম্যানেজম্যান্টকে। আমাকে বলার পর আমি বলেছি পারব। প্রথম ম্যাচে ভালো করিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে শুরুটা হয়েছে রান বড় হয়নি। আজ বেশ ভালো হয়েছে। তারা যে আমার উপর ভরসা রেখেছে এজন্য ভালো লেগেছে। তাদের বিশ্বাসেই ভালো করেছি। এজন্য ভালো করেছি। ’
মিরাজকে ওপেন করতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন দল পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজন, অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম আর ম্যানেজার নাফিস ইকবাল। আপাতত তাদের আস্থার প্রতিদান দিতে পেরেই খুশি মিরাজ, ‘আসলে আমি কিন্তু পাওয়ার প্লেতে খেলি। আমি টাইমিং করে খেলতে পছন্দ করি। আমার কাছ থেকে কেউ আশা করতে পারবে না যে আমি ১৫ বলে ৩০ রান বা ৩৫ রান করবো। বা অনেক বড় বড় শট খেলব। ওরকম আমি আমি পারবো না। আমার সামর্থ্য ওটা না। আমি ১৫ বলে ২০ বা ২৫ করতে পারব। পাওয়ার প্লে’তে ব্যাট করলে সুবিধা। গ্যাপ শট খেললেই চার হয়ে যাচ্ছে। তখন কিন্তু সুযোগ বেশি থাকে।’
Comments