পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাবে উ. কোরিয়া: কিম
নতুন বছরে পারমাণবিক ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সিতে (কেসিএনএ) আজ (১ জানুয়ারি) এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, স্বঘোষিত নিষেধাজ্ঞা মানতে আর বাধ্য নয় উত্তর কোরিয়া। দ্রুতই এ ধরনের পরীক্ষা আবারও চালানো হবে বলে জানিয়েছেন কিম।
কিম আরও জানান, খুব শিগগিরই বিশ্ব এক নতুন ধরনের কৌশলগত অস্ত্র দেখতে পাবে। যদিও এর বিশদ কোনো ব্যাখ্যা প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়নি।
এখনও আলোচনার পথ খোলা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নির্ভর করবে যুক্তরাষ্ট্রের আচরণের ওপর।”
উত্তর কোরীয় নেতা বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বস্ততা স্থাপনের একটি অংশ ছিলো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা থেকে বিরত থাকা। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ার পাশাপাশি পিয়ংইয়ংয়ের ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।”
কিম বলেন, “এ অবস্থায় কোনো কারণ নেই এ বাধ্যবাধকতা মেনে চলার। যেখানে অপরপক্ষ কেবল নিজেদের রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যাচ্ছে।”
আলোচনার নামে যুক্তরাষ্ট্র কেবল সময়ের অপচয় করছে বলেও অভিযোগ করেন কিম।
আজ ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে এক বৈঠকে এসব কথা বলেন কিম। সাধারণত ইংরেজি বছরের শুরুর দিনে জাতির প্রতি ভাষণ দেন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন। তবে এ বছর তার ব্যতিক্রম হতে যাচ্ছে।
এদিকে, কিম জং উনের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ নিয়ে একটি চুক্তিও করেছেন কিম।
ফ্লোরিডায় নতুন বছরের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “কিম তার প্রতিশ্রুতি ভুলবে না বলেই মনে করেন তিনি।”
এর আগে, ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও জানান, উত্তর কোরিয়া শান্তির পথ বেছে নেবে বলে আশা করেন তিনি।
মার্কিন গণমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, চেয়ারম্যান কিম সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন। যুদ্ধ কিংবা সংঘাতের পথ এড়িয়ে তিনি উন্নয়ন ও শান্তির পথ বেছে নেবেন।
গত দুই বছরে দূরপাল্লার কিংবা পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের কোনো পরীক্ষা চালায়নি উত্তর কোরিয়া। তবে পুরোপুরি পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ না করা পর্যন্ত পিয়ংইয়ংয়ের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তোলা হবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছে ওয়াশিংটন।
যদিও ২০১৯ সালের শেষের দিকে উত্তর কোরিয়া নানা ধরনের হালকা অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। আর একে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য হুমকি হিসেবেই দেখছে ট্রাম্প প্রশাসন।
Comments