ফাইনালে চোখ আকবরের, বোর্ড প্রধানকে নিতে চান দ. আফ্রিকায়

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের কাছে কয়েক দিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার উপলক্ষ চেয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। যুব বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়ার আগের দিন আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে দলের অধিনায়ক আকবর আলি জানিয়েছেন, বোর্ড সভাপতির প্রত্যাশা পূরণ করতে চান তারা। নিজেদের সামর্থ্যে আস্থা রেখে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনাও দেখছেন তিনি।
akbar ali
ছবি: সাব্বির হোসেন

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের কাছে কয়েক দিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকা যাওয়ার উপলক্ষ চেয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। যুব বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছাড়ার আগের দিন আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে দলের অধিনায়ক আকবর আলি জানিয়েছেন, বোর্ড সভাপতির প্রত্যাশা পূরণ করতে চান তারা। নিজেদের সামর্থ্যে আস্থা রেখে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনাও দেখছেন তিনি।

দক্ষিণ আফ্রিকাতে আইসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৭ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি। সেখানে বাংলাদেশ গ্রুপ ‘সি’তে খেলবে জিম্বাবুয়ে, স্কটল্যান্ড ও পাকিস্তানের সঙ্গে। ১৮ জানুয়ারি প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে।

সপ্তাহখানেক আগে বিশ্বকাপগামী দলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন শেষ করে বিসিবি প্রধান বলেছিলেন, ‘ওদের (যুবাদের) বলেছি, এখন পর্যন্ত আমি দক্ষিণ আফ্রিকা যাইনি। এমনকি জাতীয় দলের জন্যও না। কিন্তু ওরা সেমি-ফাইনালে উঠলে যাব।’

সে প্রসঙ্গ উঠতেই বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) আকবর বলেছেন, ‘যদি আমাদের দলের কথা বলি, সেমি-ফাইনাল কেন, ফাইনালেও খেলা সম্ভব। আমরা সাম্প্রতিক অতীতে যেমন খেলেছি এবং আমাদের কম্বিনেশন যেমন দাঁড়িয়েছে, ফাইনালে খেলার মতো দল আমাদের রয়েছে। তো আশা করি, সভাপতি যা বলেছেন, আমরা তাকে নিয়ে যেতে পারব (দক্ষিণ আফ্রিকায়)।’

আকবরের কথার সঙ্গে অমত করার উপায় নেই। এবারের বিশ্বকাপগামী দলটা অনেক দিন ধরেই একসঙ্গে খেলছে। তাদের মধ্যে বোঝাপড়াটাও ভালো। গত বিশ্বকাপের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৩টি ওয়ানডে খেলে ১৮টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। হেরেছে আটটিতে, টাই হয়েছে একটি, পরিত্যক্ত হয়েছে ছয়টি ম্যাচ। বেশির ভাগ জয়ই এসেছে বিদেশের মাঠে। যুবারা খেলেছে এশিয়া কাপ ও ইংল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে। নিউজিল্যান্ড অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে তাদের মাঠেই ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছে।

তাই আকবরদের নিয়ে প্রত্যাশার পারদটা চড়া। আকবরও তা মানছেন। ফাইনালে চোখ রাখলেও কোচ নাভিদ নেওয়াজের মন্ত্র অনুসারে তারা এগোতে চান ধাপে ধাপে, ‘আমরা সম্প্রতি ভালো খেলেছি দেখেই কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেট যারা অনুসরণ করেন, তাদের প্রত্যাশা বাড়ছে। আমরা ফলের দিকে তাকাচ্ছি না। ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করছি। আর কোচ যেটা বলেছেন যে আমরা বহু দূরে তাকাতে চাচ্ছি না। কারণ সেটা আমাদেরকে বাড়তি চাপের মধ্যে ফেলে দিতে পারে। তো আমাদের প্রথম লক্ষ্যটাই থাকবে নক-আউট নিশ্চিত করা এবং ম্যাচ বাই ম্যাচ পরিকল্পনা করা। শেষ তিন-চার মাসে যে প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করেছি, বিশ্বকাপেও সেটাই ধরে রাখব।’

আগামীকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বে যুব দল। মূল প্রতিযোগিতার আগে কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে দুই সপ্তাহ প্রস্তুতির সময় পাবেন তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশন বরাবরই চ্যালেঞ্জিং বাংলাদেশের জন্য। সে চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুতি ক্যাম্পের দিকে তাকিয়ে আকবর, ‘দেখুন, আমরা তিন সপ্তাহের একটা ক্যাম্প করেছিলাম বগুড়ায়। দক্ষিণ আফ্রিকায় একটা সিমিং কন্ডিশন পাব। সেটা মাথায় রেখে বগুড়ায় ঘাসের উইকেটে ব্যাটিং করার সুযোগ পেয়েছি আমরা। আর দুই সপ্তাহ সময় পাব ওখানে গিয়ে। আমার মনে হয়, সেখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে ওটাই যথেষ্ট।’

আগামী ৭ ও ৯ জানুয়ারি দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন আকবররা। ১৩ ও ১৫ জানুয়ারি আছে দুটো অফিসিয়াল ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ।

যুব বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দল: আকবর আলি (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয় (সহ-অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন লিমন, প্রান্তিক নওরোজ, মাহমুদুল হাসান জয়, শাহাদাত হোসেন, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, তানজিম হাসান সাকিব, অভিষেক দাস, শরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ শাহিন আলম, রকিবুল হাসান, হাসান মুরাদ।

স্ট্যান্ড-বাই: অমিত হাসান, মেহরাব হোসেন, আশরাফুল ইসলাম সিয়াম, মিনহাজুর রহমান মোহান্না, রুহেল মিয়া, আসাদুল্লাহ হেল গালিব।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago