ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর পুনর্মিলনী থেকে বাদ শোভন, রাব্বানী

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বাদ পড়ার পর এবার সংগঠনটির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর পুনর্মিলনী থেকেও বাদ পড়েছেন রেজওয়ানুল হক শোভন এবং গোলাম রাব্বানী।
shovon and rabbani
রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং গোলাম রাব্বানী। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বাদ পড়ার পর এবার সংগঠনটির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর পুনর্মিলনী থেকেও বাদ পড়েছেন রেজওয়ানুল হক শোভন এবং গোলাম রাব্বানী।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামীকাল (৪ জানুয়ারি) ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ইতোমধ্যে সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীদের আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়ে গেছে।

কিন্তু, এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া হয়নি দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগে অপসারিত ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে।

জানতে চাইলে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের হাইকমান্ডের সঙ্গে কথা হয়েছে। হাইকমান্ড থেকেই তাদের (শোভন-রাব্বানী) আমন্ত্রণ জানাতে নিষেধ করা হয়েছে। তাই তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।”

২০১৭ সালে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের পর শোভনকে সভাপতি ও রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই বছর মেয়াদি কমিটি গঠন করা হয়েছিলো।

গত বছরের শুরুতে ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেলও হয়েছিলো শোভন-রাব্বানীর নেতৃত্বে। রাব্বানী জিএস পদে জিতলেও হেরেছিলেন ভিপি প্রার্থী শোভন।

শোভন ও রাব্বানী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ থেকে চাঁদা দাবি করেন বলে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম অভিযোগ তোলার পর ক্ষুব্ধ হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাদের।

বাংলাদেশের অন্যতম পুরনো ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ইতিহাসে এই প্রথম ‘চাঁদাবাজির জন্য’ সংগঠনটির কোনো শীর্ষ নেতাদের এভাবে সরিয়ে দেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago