সুসংগঠিত দল সফলভাবে সরকার পরিচালনার জন্য সহায়ক: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, একটি সরকার সফলভাবে পরিচালনার জন্য দলকে সুসংগঠিত রাখা জরুরি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি ফাইল ফটো

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করে দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, একটি সরকার সফলভাবে পরিচালনার জন্য দলকে সুসংগঠিত রাখা জরুরি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একটি সরকার সফলভাবে কাজ করতে পারবে তখনই যখন তার পেছনে দল সুসংগঠিত থাকে। কারণ দল সুসংগঠিত থাকলে তা একটা সরকারের জন্য বিরাট শক্তি।”

প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি আজ (৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভেনিউস্থ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গত ২১ ডিসেম্বর একুশতম জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচিত দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ এবং উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম যৌথসভার প্রারম্ভিক ভাষণে একথা বলেন।

দলের সব কার্যনির্বাহী সদস্য এবং উপদেষ্টা পরিষদ সদস্যদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, “দলের শক্তিটাই সব থেকে বেশি কাজে লাগে একটা দেশকে উন্নত করতে। যেটা আমি নিজে উপলব্ধি করি এবং যে কারণে আমি সংগঠনের ওপর সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেই।”

শেখ হাসিনা সেসময় আওয়ামী লীগ এবং এর সব সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন শেষ করে একে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, “আমাদেরকে মনে রাখতে হবে ২০২০ সাল বাংলাদেশের জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর। কারণ, এটা হচ্ছে জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী। ১৯২০ সালে তার জন্ম, মনে হয় তার জন্মটাই হয়েছিলো বাঙালিকে জাতি হিসেবে আত্মপরিচয় এনে দেওয়ার জন্য এবং একটি জাতি রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য।”

শেখ হাসিনা জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “বাংলাদেশের জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই কেননা তাদের আস্থা ও বিশ্বাস না থাকলে আমরা এই সুযোগটা পেতাম না। জানি না কী হতো, ইতিহাস বিকৃত করে তার (জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) নামটাইতো মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিলো।”

তিনি বলেন, “দেশের জনগণ আমাদেরকে ২০০৮ সালে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। আমরা সরকারে আসতে পেরেছি বলেই রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জাতির পিতার জন্ম শতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন করার সুযোগ পেয়েছি।”

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারের সৌভাগ্য হলো- ১৯৯৭ সালে স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী উদযাপনকালেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিলো।

শেখ হাসিনা বলেন, “২৩ বছরের সংগ্রাম এবং ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যদিয়ে লাখো প্রাণের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা, সেটা ব্যর্থ হতে পারে না। সেটা প্রমাণ করাই আমাদের লক্ষ্য।”

“সেটা যে আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি, সেটা আমি দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে পারবো। কিন্তু সেটা আমাদের ধরে রাখতে হবে,” যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago