পুলিশের পোশাকে ছিনতাইকারী আটক, নকল অস্ত্র উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে প্রাইভেটকার ছিনতাই চেষ্টার সময় পুলিশের পোশাকে থাকা একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে দুইটি পিস্তল ও দুইটি ওয়াকিটকি জব্দ করা হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, আটক ব্যক্তি পুলিশ সদস্য নন। জব্দ করা পিস্তল ও ওয়াকিটকিও নকল।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে ফতুল্লা থানার ভূঁইগড় এলাকার ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে আটক করা ওই ব্যক্তির নাম মো. শামীম (৩৬)। শামীম কুড়িগ্রামের উলিপুর এলাকার মো. নুর হোসেন আলীর ছেলে।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিকেলে ফতুল্লার পূর্ব শিয়াচর এলাকার বাসিন্দা গাড়ির মালিক আব্দুল্লাহ আল নোমান ও চালক দেলোয়ার হোসেন ঢাকার দিকে যাওয়ার পথে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের লামাপাড়া এলাকায় পুলিশের পোশাক পরিহিত দুই জনসহ মোট চার জন ব্যক্তি তাদের গাড়ি থামানোর সংকেত দেয়। গাড়ি থামালে কাগজপত্র দেখার কথা বলে চার জনই জোর করে গাড়িতে উঠে পড়ে। চালককে পেছনের সিটে বসিয়ে ছিনতাইকারীদের একজন গাড়িটি চালিয়ে সাইনবোর্ডের দিকে যেতে থাকে। গাড়ির মালিক চারজনকে ভুয়া পুলিশ বুঝতে পারলে তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করে। এর মধ্যে গাড়িটি ভূঁইগড় বাসস্ট্যান্ডের সামনে একটি লরিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। গাড়ির মালিক নোমান ও চালক দেলোয়ার চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা ছিনতাইকারীদের একজনকে আটক করে ও অন্য তিন জন পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ছিনতাইকারীকে আটক করে।”
এসময় মেট্রোপলিটন পুলিশের পোশাকের রঙের দুইটি জ্যাকেট উদ্ধার করে। জ্যাকেটদুটির একটিতে সার্জেন্ট র্যাঙ্ক ব্যাজ ও শাহিন নামে নেম প্লেট লাগানো এবং অপরটিতে লতিফ নামে নেইম প্লেট লাগানো আছে। এছাড়া তিনটি পিস্তল সদৃশ গ্যাস লাইটার, একটি ওয়াকিটকি সেট, একটি ওয়াকিটকি কন্ট্রোলার, একটি পিস্তলের কভার, একটি চামড়ার হাতকড়ার কাভার, পুলিশের মনোগ্রাম সংযুক্ত একটি ক্যাপ, একটি সিগনাল লাইন ও একটি পুলিশের মনোগ্রাম সংযুক্ত কোমরের বেল্ট উদ্ধার করা হয়।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “পুলিশের পোশাকধারী হলেও আটক ব্যক্তি ভুয়া পুলিশ। আর তার কাছ থেকে উদ্ধার করা দুটি পিস্তল ও ওয়াকিটকিও আসল নয়। পালিয়ে যাওয়া অপর তিনজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে এবং এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।”
Comments