সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির লড়াইয়ে রানা-মোস্তাফিজ
দুজনই বাঁহাতি পেসার। দুজনের বোলিংয়ের মূল অস্ত্রও প্রায় একই ধরনের। আরেকটি মিল হলো- দুজনের লড়াইটাও জমে উঠেছে দারুণভাবে। সিলেট পর্ব শেষে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিদের তালিকায় মেহেদী হাসান শীর্ষে থাকলেও তার ঘাড়ের ওপর নিঃশ্বাস ফেলছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
সিলেট পর্ব শুরু হওয়ার আগে রানার উইকেট সংখ্যা ছিল ১৪টি, মোস্তাফিজের ১৩টি। দেশের সবচেয়ে নয়নাভিরাম ক্রিকেট ভেন্যুতে রংপুর রেঞ্জার্সের মোস্তাফিজ নিয়েছেন ৪ উইকেট। খেলেছেন ২ ম্যাচ। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের রানা ১ ম্যাচ খেলেই নিয়েছেন ৩ উইকেট। ফলে তার উইকেট এখন ১৭টি, মোস্তাফিজের ১৬টি।
শুক্রবার রাতে সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে ১৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে অবশ্য শীর্ষে উঠে গিয়েছিলেন অভিজ্ঞতায় ও তারকাখ্যাতিতে এগিয়ে থাকা মোস্তাফিজ। পরদিন খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ২৯ রানে ৩ উইকেট দখল করে আবার এগিয়ে গেছেন রানা।
এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ না পাওয়া ২৩ বছর বয়সী রানা অবশ্য মাঠে নেমেছেন ৮ ম্যাচে। মোস্তাফিজ খেলেছেন ২টি বেশি। গড় আর স্ট্রাইক রেটেও এগিয়ে রানা। তবে ওভারপ্রতি রান দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশি কৃপণতা দেখিয়েছেন মোস্তাফিজ।
এবারের বিপিএলে পেসারদের দাপট দেখা যাচ্ছে। আলাদা করে নজর কাড়ছেন দেশিরা। এখন পর্যন্ত শীর্ষ ১২ উইকেট শিকারির ১১ জনই গতিময় বোলার। একমাত্র ব্যতিক্রম কেবল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের স্পিনার মুজিব-উর-রহমান। ৯ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে যৌথভাবে তৃতীয় স্থানে আছেন তিনি।
১৩টি করে উইকেট রয়েছে ইংল্যান্ডের লুইস গ্রেগরি এবং দেশের রুবেল হোসেন ও ইবাদত হোসেনেরও। ১২ উইকেট নিয়েছেন তরুণ পেসার শহিদুল ইসলাম। আন্দ্রে রাসেলের পাশাপাশি নিয়মিতভাবে বোলিং করতে শুরু করা সৌম্য সরকারেরও উইকেট ১১টি।
রান সংগ্রাহকদের তালিকার শীর্ষে অবশ্য লড়াই চলছে বিদেশিদের। ৮ ম্যাচে ৬২.৮৩ গড়ে ৩৭৭ রান নিয়ে সবার উপরে কুমিল্লার ডেভিড মালান। ৯ ম্যাচে ৪৮.৫৭ গড়ে ৩৪০ রান নিয়ে তার পেছনেই আছেন খুলনার রাইলি রুশো। এরপর আবার একটানা দেশিদের দাপট।
১০ ম্যাচে ৩৩৮ রান নিয়ে তিনে আছেন রংপুরের মোহাম্মদ নাঈম শেখ। চারে থাকা সিলেটের মোহাম্মদ মিঠুনের সংগ্রহ ১১ ম্যাচে ৩৩১। চট্টগ্রামের ইমরুল কায়েস ৯ ম্যাচে ৩১৯ রান নিয়ে রয়েছেন পঞ্চম স্থানে।
এরপর একে একে আছেন তামিম ইকবাল (৩১৮), মুশফিকুর রহিম (৩০৯), আফিফ হোসেন (৩০৬) ও লিটন দাস (২৯১)। ২৮১ রান নিয়ে যৌথভাবে দশম স্থানে আছেন শোয়েব মালিক ও চ্যডউইক ওয়ালটন।
Comments