সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হামলা ‘যুদ্ধাপরাধ’: ট্রাম্পকে স্মরণ করালো ইরান
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক স্থাপনাসহ ৫২টি স্থাপনায় হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন। জবাবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সাংস্কৃতিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানালে আন্তর্জাতিক আইনে তা হবে যুদ্ধাপরাধ।
টুইটারে দেওয়া হুমকিতে ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বা সম্পদের ওপর হামলা হলে ইরানের সংস্কৃতির জন্য গুরুত্ব বহন করে এমন জায়গাতেও “খুব দ্রুত ও বিধ্বংসী” হামলা চালানো হবে।
১৯৭৯ সালের নভেম্বরে তেহরানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে ৫২ জন কূটনীতিক ও মার্কিন নাগরিককে জিম্মি করার ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করেই সুনির্দিষ্টভাবে ৫২টি স্থাপনায় হামলার হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ৪৪৪ দিন ধরে চলা জিম্মি সংকটের শেষ হয়েছিল ১৯৮১ সালের জানুয়ারিতে।
ট্রাম্পের হুমকির জবাবে ইরানের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী ট্রাম্পকে ইসলামিক স্টেট, হিটলার ও চেঙ্গিস খানের সঙ্গে তুলনা করে টুইটে লিখেছেন, “এরা সবাই সংস্কৃতিকে ঘৃণা করে। ট্রাম্প একজন স্যুট পরা সন্ত্রাসী। তিনি খুব শিগগিরই বুঝতে পারবেন যে ইরানের মহান জাতি ও সংস্কৃতিকে কেউ পরাজিত করতে পারে না।”
-Having committed grave breaches of int'l law in Friday's cowardly assassinations, @realdonaldtrump threatens to commit again new breaches of JUS COGENS;
-Targeting cultural sites is a WAR CRIME;
-Whether kicking or screaming, end of US malign presence in West Asia has begun.— Javad Zarif (@JZarif) January 5, 2020
সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হামলা বন্ধে ২০১৭ সালের মার্চ মাসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব পাস হয়। ইরাক ও সিরিয়ায় প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনে ইসলামিক স্টেটের হামলার প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা পরিষদে ওই প্রস্তাব আনা হয়েছিল।
এছাড়া ১৯৫৪ সালের হেগ কনভেনশনে সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
Comments