ইরানের সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হামলার হুমকিতে অনড় ট্রাম্প

donald trump
ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: ফাইল ফটো

ইরানের সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হামলার হুমকি দিয়ে সমালোচিত হওয়ার পরও সেই বক্তব্য থেকে সরছেন না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্প।

রোববার (৫ জানুয়ারি) তিনি বলেছিলেন, সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ইরান কোনো ব্যবস্থা নিলে ৫২টি স্থাপনায় হামলা চালাবে মার্কিন বাহিনী যেগুলোর মধ্যে সাংস্কৃতিকভাবে গুরুত্ব বহন করে এমন স্থাপনাও থাকবে।

ইরানে হামলার হুমকির কথা পুনর্ব্যক্ত করে রোববার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ইরাক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্যদের বের করে দেওয়া হলে বাগদাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

“যদি হয় তবে হোক। কিন্তু ইরান পাল্টা ব্যবস্থা নিলে মারাত্মক হামলা হবে,” বলেন ট্রাম্প।

ইরানের সাংস্কৃতিক স্থাপনায় প্রেসিডেন্টের হামলার হুমকির ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তা অস্বীকার করেন। কিন্তু রাতেই আবার ট্রাম্প বলেন, “রাস্তার পাশে পেতে রাখা বোমা দিয়ে তারা আমাদের লোকদের হত্যা করতে পারে আর আমরা তাদের সাংস্কৃতিক স্থাপনা ছুঁতে পারব না? ব্যাপারটা সেরকম হবে না।”

সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হামলা বন্ধে ২০১৭ সালের মার্চ মাসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে একটি প্রস্তাব পাস হয়। ইরাক ও সিরিয়ায় প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শনে ইসলামিক স্টেটের হামলার প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা পরিষদে ওই প্রস্তাব আনা হয়েছিল। ১৯৫৪ সালের হেগ কনভেনশনে সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হামলাকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

১৯৭৯ সালের নভেম্বরে তেহরানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে ৫২ জন কূটনীতিক ও মার্কিন নাগরিককে জিম্মি করার ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করেই সুনির্দিষ্টভাবে ৫২টি স্থাপনায় হামলার হুমকি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ৪৪৪ দিন ধরে চলা জিম্মি সংকটের শেষ হয়েছিল ১৯৮১ সালের জানুয়ারিতে।

আরও পড়ুন:

সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হামলা ‘যুদ্ধাপরাধ’: ট্রাম্পকে স্মরণ করালো ইরান

Comments

The Daily Star  | English
NCP will not accept delay in Teesta master plan

Won’t accept any implementation delay: Nahid

National Citizen Party Convener Nahid Islam yesterday said his party would not accept any delay or political maneuver over implementing the Teesta master plan.

1h ago