মালানের চোখে সৌম্যই সেরা
১৪২ রানের লক্ষ্যে তিনে নেমে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক ডেভিড মালান, ৪৯ বলে ৫৮ রান করে হয়েছেন ম্যাচ সেরা। তবে বোলিংয়ে মিথ্যব্যায়ী স্পেল করার পর ব্যাটিংয়ে ৩০ বলে ৫৩ করে ম্যাচ জিতিয়ে আসেন সৌম্য সরকার। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স অধিনায়কের চোখে তিনি নন, ম্যাচ সেরা আসলে সৌম্যই।
টুর্নামেন্টে টিকে থাকার লড়াইয়ে মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেট থান্ডারের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জিতে কুমিল্লা। সিলেটকে ১৪১ রানে আটকে দেওয়ার পর এক পর্যায়ে চাপে পড়েও মালান, সৌম্যের ব্যাটে উদ্ধার হয় তারা।
নাগালের মধ্যে লক্ষ্য পেলেও মন্থর উইকেটে বেশ ভুগছিল কুমিল্লা। প্রথম ৭ ওভারে মাত্র ৩২ রান তুলে তারা হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। তখন নেমে সাবলীল ব্যাটিংয়ে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন সৌম্য। মালানের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে গড়ে তার ৭২ রানের জুটি। ৫৮ রান করে মালান ফেরার পরও জিততে আরও ৩৮ রান দরকার ছিল কুমিল্লার। সৌম্য বাকি কাজ সারেন অনায়াসে। দলকে জয় পাইয়ে দেন ৫ বল বাকি রেখে।
ম্যাচ শেষে কুমিল্লা অধিনায়কের কণ্ঠে সৌম্য স্তুতি, ‘সে অসাধারণ করেছে। আমার কাছে ম্যাচ সেরা সৌম্যই। যেভাবে সে খেলেছে। খুব কঠিন পরিস্থিতিতে ক্রিজে এসেছিল, আমরা যখন সমস্যায় ছিলাম। আমাদের ওভারপ্রতি রানরেট তখন ছিল চার। সে এলো এবং খুব পরিণত ইনিংস খেলল।’
এবার বিপিএলে নির্দিষ্ট কোন পজিশনে ব্যাট করছেন না সৌম্য। শুরুতে নেমেছিলেন ওপেনিংয়ে, পরে তিন- চারে খেলেছেন। এদিন নামেন পাঁচে। নিজের চেনা পরিসরের বাইরে এমন খেলতে পারায় শিক্ষণীয় বিষয় দেখছেন মালান, সৌম্য যেভাবে মানিয়ে ঝড় তুলেছেন তাতে উন্নতি দেখছেন তার, ‘আমার মনে হয় তার জন্য এটা শিক্ষণীয় ছিল। বিশেষ করে সে ভিন্ন এক পজিশনে খেলেছে। সে পাঁচে ব্যাট করেছে। সাধারণত সে সেরা তিনে খেলে। কাজেই সে সেভাবে খেলেছে, আমি বাইরে থেকে কোচিংয়ের পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে যদি দেখি, আমার মনে হয় সে অনেক উন্নতি করেছে। সে খেলা নিয়ে দারুণভাবে ভাবছে। ’
Comments