'বিপিএলের সূচি অদ্ভুতুড়ে'
টুর্নামেন্টের প্রথম দশ দিনেই সাতটা ম্যাচ খেলতে হয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে, ঢাকা প্লাটুন টানা তিনদিনে তিন ম্যাচ দিয়ে শুরু করে টুর্নামেন্ট। আবার খুলনা টাইগার্স পেয়েছে বিশ্রাম, বিরতির সুযোগসহ বেশ জুতসই সূচি। ভারসাম্যহীনতার ফলে টুর্নামেন্টের শেষ দিকে সূচির অবস্থায় দাঁড়ায় বিচিত্র। ৩৬টি ম্যাচ হওয়ার পর রাজশাহী রয়্যালস-চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, ঢাকা প্লাটুন-রংপুর রেঞ্জার্স, খুলনা টাইগার্স-কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের দুই ম্যাচ হচ্ছে পর পর!
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের এমন বিচিত্র সূচির সমালোচনা করছে দলগুলো। ঢাকা প্লাটুন কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলছেন সূচিটা হতে পারত আরেকটু গুছানো। বিসিবি পরিচালিত দল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স অধিনায়ক ডেভিড মালান এই সূচিকে বলছেন অদ্ভুতুড়ে।
টুর্নামেন্টের প্লে অফে যেতে হলে বাকি দুই ম্যাচেই জিততে হবে কুমিল্লাকে। তাদের হাতে থাকা দুই ম্যাচের প্রতিপক্ষই আবার খুলনা। সিলেট থান্ডারকে ৫ উইকেটে হারিয়ে আসার পর কুমিল্লা অধিনায়ক সূচি নিয়ে দেন নিজের প্রতিক্রিয়া, ‘সূচিটা অদ্ভুতুড়ে, আমরা একই দলের বিপক্ষে পর পর দুই ম্যাচ খেলব। অবাক ব্যাপার আরকি। কিন্তু আপনি যদি আবার দেখেন একই দলকে পর পর দুই ম্যাচ হারিয়ে পরের রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ, এটা তাহলে টুর্নামেন্টে রোমাঞ্চ নিয়েও আসে।’
‘আমার মনে হয় আপনি দল হিসেবে খেলতে না পারলে কোন কাজে আসবে না। আপনি যদি একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হেরে যান, তাহলে পরের ম্যাচের জন্য আত্মবিশ্বাস থাকবে না। এটা বেশ কঠিন। কিন্তু ফ্লেচার যেটা বলল পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে যেকোনো পরিস্থিতিতে আমাদের খেলতে হবে। তবে একই দলের পক্ষে পর পর দুই ম্যাচ না থাকাই আদর্শ হতো।’
পরের রাউন্ডে যাওয়ার চ্যালেঞ্জে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে পর পর দুই ম্যাচ খেলতে হবে ঢাকাকেও। রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে নামার আগে ঢাকার কোচ সালাউদ্দিনও সূচির ভারসাম্যহীনতার সমালোচনা করেন, ‘আমার মনে হয় সূচিটা আরেকটু ভালো হতে পারতো। প্রথম তিন দিনে আমরা তিনটি ম্যাচ খেলেছি। এটা আসলে বেশ কঠিন হয়ে যায় খেলোয়াড়দের জন্য। টি-টোয়েন্টিতে অনেক বেশি চাপের ম্যাচ এগুলো। এখানে যদি ক্রিকেটাররা বিশ্রাম পেতো তাহলে আমার মনে হয় আরো ভালো হতো। শেষের দিকে এসেও কিন্তু আমাদের চার দিনে তিনটি ম্যাচ খেলতে হবে। তাই সূচি আরেকটু ভালো হলে সবার সুবিধা হতো।’
Comments